বিধান সরকার: বৃহস্পতিবার সারা রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা। চুঁচুড়া প্রিয়নগরে তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বাড়িতে সকাল সকাল ভাইফোঁটা দিতে আসেন দলের মহিলা কর্মীরা। সেখানেই উঠল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের কথাও। 'রচনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব রটনা,এখানে থাকলে আমাকে ভাইফোঁটা দিত,আমার বোন রচনা',বললেন অসিত মজুমদার।
হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই জারি আছে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। রচনা-অসিতকে এক সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি অনেকদিন। এমনকী চুঁচুড়ায় অসিতের বিধানসভা এলাকাতেও রচনার সঙ্গে দেখা যায়নি। সম্প্রতি দলের নব নবনিযুক্ত শহর সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে রচনা ইঙ্গিত দিয়েছেন ফণীর দিকে নজর দিলে ফণীর ফনা দিয়ে ছোবল মারবে।(শ্যামাপ্রসাদের ডাক নাম ফণী)। তৃনমূলের অন্দরে খবর সাংসদের জন্যই ফণী শহর সভাপতি হয়েছেন অসিতের লোককে সরিয়ে। ফণীর পাশে যে সাংসদ রয়েছেন তাও সেদিন স্পষ্ট করেছেন সাংসদ।
এমন আবহে অসিত মজুমদার বলছেন, 'রচনা আমার বোনের মত। ও সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক। এখানে থাকলে নিশ্চই ভাইফোঁটা দিত। এক পরিবারে ভাইবোনে ঝগড়া অশান্তি হয় আবার ঠিক হয়ে যায় দাবী অসিতের। তবে যেখানে স্বার্থের সংঘাত সেখানে কি হবে সে প্রশ্ন থেকে যায়'।
ভাইফোঁটার দিন ঈশ্বরের কাছে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আশীর্বাদ চাইলেন অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যেন সুস্থ থাকেন কখনো অসুস্থ বোধ না করেন।মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারেন'।
এদিন ভাইফোঁটা দিতে আসেন দলের মহিলা কর্মীরাও। তাদের মধ্যে ছিলেন বালির মোড়ের কর্মী গোপলা ঘোষের মা নমিতা ঘোষ। প্রবীণ নমিতা জানান,সেই প্রথমবার যখন দাদা জিতলেন তখন থেকে ফোঁটা দিই। তাতে ছেদ পরেনি। মানুষের জন্য কাজ করুক এটাই চাই ঈশ্বরের কাছে। বিধায়ক বলেন,'২০১১ সালে যেদিন ভোট চাইতে গিয়েছিলাম সেদিন নমিতা বলেছিলেন নরেন দে-কে তুমি হারাতে পারবে। আমি বলেছিলাম হারালে আমাকে ভাইফোঁটা দিতে হবে। সেই শুরু। চৌদ্দ বছর ধরে ভাইফোঁটা দিয়ে আসছে। আমি প্রতি বছর তার অপেক্ষায় বসে থাকি। নমিতাদি ফোঁটা দিলে তারপর আমি শ্রীরামপুরে আমার বোনের কাছে ফোঁটা নিতে যাই। আমি চাই ও সুস্থ থাকুক বছর বছর ভাইফোঁটা দিতে আসুক'।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বলেছেন নন্দীগ্রামে হারিয়েছি ভবানী পুরেও হারাব। সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'ও যদি বাপের ব্যাটা হয় ভবানীপুরে দিদির বিরুদ্ধে দাঁড়াক। নন্দীগ্রামে চুরি করে জিতেছে। একটা চোর লম্পট। ও তো হাফ পাগল। কথাবার্তা দেখুন। যখন কথা বলে চোখ গুলো দেখবেন। পাগলের প্রলাপ'।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের জবাব, 'চুঁচুড়ার বিধায়ক বলছেন বিরোধী দলনেতা হাফ পাগল তাহলে ওনার দিদি কি? শ্রীরামপুরের দাদা কি? আর চুরির কথা বলছেন,চুরিতে ওনারা পিএইচডি করেছেন। বালি, পাথর, গরু, চাকরি চুরি।মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার চুরি করেছেন।এর জবাব মানুষই দেবে এবার ভোটে'।