প্রদ্যুৎ দাস: দুই সন্তানের মায়ের সঙ্গে অবিবাহিত এক যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিকা ওই গৃহবধূকে বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়ি থেকে আনতে গিয়েই কেলেঙ্কারি কাণ্ড! এলাকা সরগরম। ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে আসল থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত ভেন্ডি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির জংলী পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে সাত ভেনডি এলাকার দুই সন্তানের মা এক গৃহবধূর সঙ্গে ৭ বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ওই যুবক রাতের বেলায় ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। নিজেই স্বীকার করেছেন সেকথা। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দুজনে দেখা করতেন। এখন ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দিতে বুধবার দুপুরে গৃহবধূর বাড়িতে আসেন প্রেমিক যুবক। ওই গৃহবধূকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু বেঁকে বসেন ২ সন্তানের মা ওই গৃহবধূ।
ওই গৃহবধূ দাবি করেন, "ওই যুবক মিথ্যা কথা বলছে। আমি ওকে চাই না। আমি আমার স্বামীকে চাই। স্বামীর সঙ্গে সংসার করব।" ওদিকে গৃহবধূর স্বামী বলেন, "অনেকদিন থেকে ওই যুবকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। যুবককেও আমি সাবধান করে দিয়েছিলাম। কিন্তু শোনেনি।" দুই সন্তানের কথা ভেবে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ছাড়বেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
এদিকে প্রেমিক যুবক দাবি করেন, "সাত বছর ধরে আমার সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক। আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। প্রমাণ লোপাটের জন্য আমার মোবাইল ভেঙে দেয়। আজকে কেন অস্বীকার করছে জানি না।" এদিকে এহেন যখন কাণ্ড, তখন ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গৃহবধূর বাড়িতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ। এলাকার মহিলারা দুজনকেই ধরে তারপর উত্তমমধ্যম দেন।
ঘটনার খবর যায় ধুপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ধুপগুড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস এসে প্রেমিক যুবক এবং তাঁর প্রেমিকা ওই গৃহবধূকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।