সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে মহাজোটের অন্দরের অশান্তি যেন কিছুতেই মিটছে না। বুধবারই লালুপ্রসাদ যাদব এবং অশোক গেহলটের মধ্যেকার বৈঠকের পর মনে হয়েছিল, নিজেদের মধ্যেকার সব মতবিরোধ বুঝি মিটিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস এবং আরজেডি। লালুর দলের দাবি মেনে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে মানতেও রাজি হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মতো বৃহস্পতিবার মহাজোটের তরফে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনও ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেই সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই বিতর্ক।
আসলে সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য মঞ্চের পিছনে যে ব্যানার লাগানো হয়েছে তাতে রাহুল গান্ধীর কোনও ছবি নেই। শুধু রাহুল কেন, কোনও কংগ্রেস নেতারই ছবি নেই। বড় করে শুধু তেজস্বী যাদবের ছবি রয়েছে। এমনকী লালুপ্রসাদ যাদব-রাবড়ি দেবীর ছবিও নেই। মহাজোটের সব সদস্য দলের নাম ও প্রতীক থাকলেও ছবি শুধু রয়েছে তেজস্বীর। আসলে বিহারে তেজস্বীই যে জোটের মুখ সেটা দেখাতে চেয়েছেন আরজেডি নেতারা। কিন্তু সেটা নিয়েও বিতর্ক। বিজেপি ওই ছবি কাণ্ডে আসরে নেমে পড়েছে। গেরুয়া শিবির বলছে, মহাজোটে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর যে কোনও সম্মানই নেই, সেটা এই ছবিতেই স্পষ্ট।
বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা সোশাল মিডিয়ায় বলছেন, মহাজোটে কংগ্রেসের যে কোনও সম্মান নেই সেটা ওই ছবিতেই স্পষ্ট। তিনি বলছেন,”রাহুল গান্ধীকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দিল আরজেডি।” ভোটচুরির সঙ্গে মিলিয়ে তিনি বলেছেন, “এটা তো সম্মান চুরি হচ্ছে।” বিজেপির দাবি, বিহারে আরজেডি কংগ্রেসকে একেবারেই সম্মান দেয়নি। আসন সমঝোতা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করা পর্যন্ত সবেতেই একগুঁয়েমি দেখিয়েছে আরজেডি। মানতে বাধ্য হয়েছে কংগ্রেস।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসলে নামেই ‘মহাগটবন্ধন’, আসনরফা কার্যত শিকেয়। অন্তত গোটা ১০-১২ আসনে সরাসরি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইন্ডিয়ার জোটের শরিকরা। আসলে জোটধর্ম ভুলে অধিকাংশ শরিক নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। আসনরফা নিয়ে আলোচনা চলেছে মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পরও। নাম প্রত্যাহার পর্যন্তও রফা চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে যে যার নিজেদের মতো করে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেওয়া শুরু করে দেয়।