• চুঁচুড়ার বৃদ্ধাশ্রমে ভাইফোঁটা মহকুমা শাসকের! আনন্দে ভাসলেন প্রবীণ আবাসিকরা
    প্রতিদিন | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: যৌবন পেরিয়ে ওরা বৃদ্ধ হয়েছেন। পরিবার থেকেও নেই অনেকের। চুঁচুড়া আরোগ্যই তাঁদের ঘরবাড়ি। সেই আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিলেন মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। বোনকে আশির্বাদ করে চোখে জল ধরে রাখতে পারলেন না বৃদ্ধ দাদা। মহকুমা শাসক তাদের বললেন, যেখানেই থাকি এই ভালোবাসা ভুলব না। এই সম্পর্ক থেকে যাবে।

    চুঁচুড়া আরোগ্য একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রায় চল্লিশ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন। যাঁদের কেউ নেই। কারোর হয়ত পরিবার আছে, কিন্তু তাঁরা খোঁজ নেয়না। শেষ বয়সে তাঁদের ঠিকানা হয়েছে আরোগ্যে। কারবালা মোরে সেই আশ্রমে বৃদ্ধ আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিলেন চুঁচুড়া সদরের মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। তিনি বলেন, “ভালো অফিসারের থেকে বড় কথা হল ভালো মানুষ হওয়া। আমাদের জীবন হয়ত অনেকটা লম্বা। কিন্তু মানুষের জন্য কতটা করতে পারলাম, পাশে থাকতে পারলাম সুখে-দুঃখে সেটাও দেখার। যেখানেই থাকি এই সম্পর্ক থেকে যাবে। চেষ্টা করব প্রতিবছর এই দিনটায় উপস্থিত থাকতে।”

    আরোগ্যর কর্নধার ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, “এখানের আবাসিকরা যেন না মনে করেন তাদের কেউ নেই বলে। তাই আমরা চেষ্টা করি সব রকম অনুষ্ঠান করার। আজ আশেপাশে যখন উলু-শঙ্খধ্বনির আওয়াজ, তখন আবাসিকদের মন খরাপ হতে পারে। তাই ভাইফোঁটার আয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “মহকুমা শাসক অন্য ধরনের মানুষ। তিনি গতবারও এসেছিলেন। তিনি যখন ভাইফোঁটা দিলেন আবাসিকদের চোখে জল। এই জল প্রাপ্তির আবেগের।” ইন্দ্রজিৎ দত্ত আরও বলেন, “এতদিন কেউ খোঁজ নেয়নি, আজ মহকুমা শাসক তাঁদের ফোঁটা দিলেন। মাথা ছুঁয়ে তাদের আশির্বাদ পেয়ে মহকুমা শাসকের চোখের কোনেও দেখা যায় জল।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)