টার্গেট পূরণের চাপে গঙ্গায় ঝাঁপ! ২ দিন পর ভাইফোঁটার দুপুরে উদ্ধার তরুণীর দেহ
প্রতিদিন | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: টার্গেট পূরণের চাপ সহ্য করতে না পেরে চন্দননগরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন যুবতী। ২ দিন পর ভাইফোঁটার দুপুরে শ্রীরামপুরে মিলল দেহ। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর আগে তরুণী একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে দাবি করেছিলেন এই চরম সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কর্মস্থলের চাপ। সেই চিঠির ভিত্তিতেই তরুণী যে সোনার দোকানে কাজ করতেন সেখানকার মালিকের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মনামী ঘোষ। চন্দননগরের বউবাজারের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তিনবছর ধরে চন্দননগরের বাগবাজারে জিটি রোডের পাশের একটি সোনার দোকানে সেলস বিভাগে কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক ধরে চাকরি নিয়ে সমস্যা চলছিল। প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবারও কাজে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওইদিন মানালি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন সেই মর্মে একটি বয়ান তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। সেই অবসাদেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন যুবতী। সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করে চন্দননগর থানার পুলিশ। নামানো হয় ডুবুরি, স্পিডবোট।
দু’দিন তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। চন্দননগর থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তরুণী যে সোনার দোকানে কাজ করতেন সেখানকার মালিকের স্ত্রী মমতা দাসকে আটক করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, চন্দননগর বউবাজার শীতলাতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল মনামীর। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা।