• দুবাই থেকে ভারতে দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, মুম্বইয়ে নামতেই গ্রেপ্তার ২৫০ কোটি টাকার মাদক মামলায় ‘ওয়ান্টেড’
    এই সময় | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • আন্তর্জাতিক মাদক পাচার মামলায় বড় সাফল্য মুম্বই পুলিশের। বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মহম্মদ সেলিমকে। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে সে পলাতক ছিল। এ দিন সে মুম্বই বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতজুড়ে বিস্তৃত একটি বিশাল মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক চালাত মহম্মদ সেলিম। গত বছর একটি মামলায় ১৫০ গ্রাম মেফেড্রোন মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল মুম্বই পুলিশ। সেই মামলার তদন্তেই নাম উঠে আসে সেলিমের। ওই মামলার তদন্তে আরও জানা গিয়েছিল, বাজেয়াপ্ত করা মাদকের পরিমাণ অত্যন্ত কম হলেও, তার সঙ্গে ২৫০ কোটি টাকার একটি বৃহত্তর মাদক উৎপাদন ও পাচার চক্র জড়িয়ে রয়েছে।

    এ দিন সেলিমকে গ্রেপ্তারের পরে মুম্বই পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, সে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেলিম দোলার হয়ে কাজ করতেন। মুম্বই এবং দুবাই, দুই জায়গাতেই সক্রিয় ছিল সেলিম দোলা। এই মাদক চক্রের মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা আয় করেছে সে। মুম্বই পুলিশের মাদকবিরোধী শাখা এখন দোলার সন্ধানে একটি পৃথক অভিযান শুরু করেছে।

    পুলিশি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে ভারতে মাদক পাচারের চক্র পরিচালনার পাশাপাশি হাওলা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারও করত মহম্মদ সেলিম। সেলিমের গ্রেপ্তারের ফলে এই মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত এবং আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মুম্বই পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে সেলিমকে দুবাই থেকে ভারতে আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরে তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জেরা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, একে শুধুমাত্র একটি গ্রেপ্তার হিসেবে দেখলে হবে না। এটা মুম্বইয়ে পরিচালিত আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের জন্য একটি বড় আঘাত।

    মুম্বই পুলিশের মাদকবিরোধী শাখা এবং অপরাধ দমন শাখার একটি যৌথ দল এই মামলার তদন্ত করছে। পুলিশের আশা, এই পদক্ষেপের ফলে শিগগিরই দাউদ ইব্রাহিমের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যাবে।

  • Link to this news (এই সময়)