উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী শান্তনু! বিজেপির সেই সিএএ শিবিরের অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে
আনন্দবাজার | ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) আবেদনপত্র পূরণের জন্য নানা জায়গায় শিবির খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। নদিয়ার কল্যাণীতে সে রকমই একটি শিবিরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
যদিও অম্বিকা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।’’ ওই কার্যালয়ের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্কও নেই বলে দাবি করেছেন অম্বিকা। এ বিষয়ে মন্ত্রী শান্তনুর সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন তোলেননি। এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাংসদ গোষ্ঠী ও বিধায়ক গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ নিয়ে গন্ডগোলে জড়িয়েছে। দু’পক্ষের দুষ্কৃতীরা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করেছে। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্কে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ‘শ্যামাপ্রসাদ ভবন’ সংলগ্ন এলাকায় একটি সিএএ সহায়তা ক্যাম্প অফিস খোলা হয়েছিল। অফিসটি উদ্বোধন করেছিলেন শান্তনু। অভিযোগ, বুধবার মধ্যরাতে কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকার অনুগামীরা ওই ক্যাম্প অফিসে হামলা চালায়। ভাঙচুরও চলে। ভেঙে ফেলা হয় আসবাবপত্র। কয়েক জন প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় আহত হন রোহন সাউ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কের লোকেরা বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে। বেধড়ক মারধর করেছে। আমাদের মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। শান্তনু ঠাকুরের উদ্বোধন করা ক্যাম্প অফিসে আমরা সহায়তার কাজ করছিলাম।’’
যদিও অম্বিকা বলেন, ‘‘ওখানে রাতে মদ্যপান করে বেশ কয়েক জন সমাজবিরোধী অসভ্যতা করছিল। স্থানীয় লোকজন বিরোধিতা করলে বচসা শুরু হয়। সামান্য হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। ওই ক্যাম্পের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।’’
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘দলীয় কোনও কর্মসূচি নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। স্থানীয় ভাবে কোনও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’’