• অবিশ্বাস্য আসানসোল! ফের চিটফান্ডের চিটিংবাজি, পাবলিকের ৪৫০ কোটি টাকা নিয়ে ধাঁ প্রভাবশালী নেতার ছেলে...
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: চাঞ্চল্যকর আর্থিক প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে আসানসোলের রেলপার এলাকার জাহাঙ্গীর মহল্লায়। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘুর সেল রাজ্য নেতা শাকিল আহমেদের পুত্র তহসিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি উচ্চ রিটার্নের লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন।

    অভিযোগ অনুযায়ী, তহসিন আহমেদ তার একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে মাসিক মোটা অঙ্কের সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে বিনিয়োগকারীরা কিছু লাভ পেলেও পরবর্তীতে হঠাৎই সেই টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় দুশ্চিন্তা ও ক্ষোভের ঝড়। টাকা ফেরতের দাবিতে বুধবার তহসিন আহমেদের বাড়ির সামনে উত্তেজিত বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভে সামিল হন।

    একজন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ অফিসার বলেন, “প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। ভালো রিটার্ন পেয়ে আরও টাকা বিনিয়োগ করি। সবমিলিয়ে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখন আর কোনো টাকা বা সুদ পাচ্ছি না। অনেকেই আমার কথা শুনে এই প্রকল্পে টাকা দিয়েছিলেন। এখন সবারই টাকা আটকে গেছে। আমাদের ধারণা, প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে।”

    তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মোট সাতজন জড়িত এবং প্রায় আড়াই হাজার বিনিয়োগকারী প্রতারিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করেছেন। মন্ত্রী বলেছেন প্রশাসন আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবে। একইভাবে, মহিশীলা কলোনির বটতলা এলাকার বাসিন্দা মৌটুসী দত্ত নামে এক মহিলা জানান, “আমি বেকার। সোনার গয়না বন্ধক রেখে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। কয়েক মাস সুদ পেয়েছিলাম, তারপর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এখন টাকা চাইতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করা হচ্ছে।” আমি আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ও তদন্ত শুরু হয়েছে। তহসিন আহমেদ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২০(বি), ৪০৬, ৪২০ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, “বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনায় গোটা আসানসোল শহরে আলোড়ন পড়ে গেছে। আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়া বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরতের আশায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)