বিধান সরকার: দুদিন আগে চন্দননগরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন যুবতী, শ্রীরামপুরে উদ্ধার হল মৃতদেহ। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের। দোকানের মালিকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চন্দননগর বৌবাজারের বাসিন্দা বছর পঁচিশের যুবতী মনামী ঘোষ চন্দননগর বাগবাজারের একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে মানসিক অবসাদে তিনি গত মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। চন্দননগর স্ট্যান্ডে কিছুক্ষণ বসে ছিলেন। তারপরে একটি চিঠি লিখে মোবাইল চাপা দিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাঁতার জানতেন না যুবতী। তাই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তলিয়ে যান।
তার খোঁজে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর স্পিড বোট, ডুবুরি নামানো হয়। তল্লাশি চলতে থাকে গঙ্গায়। দুদিন পর আজ শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাটে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় চন্দননগর থানায় একটি মামলা রুজু করে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। ওই সোনার দোকানের মালিকের স্ত্রী মমতা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চন্দননগর বউবাজারের শীতলা তলার বাসিন্দা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল মনামীর। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার জন্য লজ ভাড়া থেকে ক্যাটারিং বুক করা, এমনকি বিয়ের কেনাকাটাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যে দোকানে যুবতী কাজ করতেন, সেখানে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হত। আর তারজন্যই এই ঘটনা। অভিযোগ আত্মঘাতী তরুণীর পরিবারের।