বাংলাদেশের জাল ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তারি! অসমে গ্রেপ্তার বাস্তবের ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’
প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার অসমের ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। বৃহস্পতিবার, অসমের কাছাড় জেলায় ৬৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নিজেকে একজন সিনিয়র চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেছেন। তাঁর কাছে বাংলাদেশের ভুয়ো মেডিকেল ডিগ্রি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কাছাড়ের এসএসপি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জয়ন্ত প্রসাদ দাসকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুয়ো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান চালানোর অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ আগস্ট প্রথম কোয়াক ডাক্তার পুলক মালাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলককে গ্রেপ্তার করেই এই কোয়াক বিরোধী অভিযান শুরু হয়। পরবর্তী তদন্তে, জয়ন্ত প্রসাদ দাস-সহ আরও ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসএসপি বলেন, জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মাহাত্তা বলেন, “তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এনআইএমএস) নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের কোনও অনুমোদন নেই।” তিনি জানিয়েছেন, এই প্রতিষ্ঠান অল্টারনেটিভ মেডিসিনে এমডি ডিগ্রি-সহ জাল মেডিকেল ডিগ্রি এবং সার্টিফিকেট দেয়।
মাহাত্তা বলেন, পুলক মালাকার-সহ গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজন হাতুড়ে ডাক্তার জয়ন্ত দাসের ভুয়ো প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এনআইএমএস-এর জাতীয় মেডিকেল কাউন্সিল (এনএমসি) অথবা অন্য কোনও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও অনুমোদন ছিল না। মাহাত্তা জানিয়েছেন, “জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি এবং ডাক্তার পরিচয় দিয়ে জাল সার্টিফিকেটের চক্র পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। এই ভুয়ো ডাক্তাররা প্রায় ২০ বছর ধরে জনসাধারণের মধ্যে ডাক্তারি করছেন। এই সার্টিফিকেটগুলির কোনওটিরই কোনও আইনগত স্বীকৃতি নেই।”
ডাক্তারির পাশাপাশি, শিলচরে স্পা সেন্টার এবং রেস্তোরাঁও চালাতেন জয়ন্ত দাস। মাহাত্তা বলেন, “আমরা এই স্পা সেন্টার এবং রেস্তরাঁগুলিতে তল্লাশি চালিয়েছি এবং ভুয়ো ডাক্তারির পাশাপাশি, অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপে তাঁর জড়িত থাকার বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছি।” জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে ভারতিয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।