• স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্কতা, পরিশ্রমে বন্যার পরেও ছড়ায়নি সংক্রামক রোগ, প্রশংসায় স্থানীয়রা
    প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • অরূপ বসাক, মালবাজার: বন্যার পরে বেশ কিছু এলাকায় জ্বর, পেটের রোগ ও চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও, সময়মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর। বন্যায় বিধ্বস্ত নাগরাকাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় নজিরবিহীন ভূমিকা পালন করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। প্রবল বৃষ্টিতে ৫ অক্টোবর ভোর থেকে নাগরাকাটার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বামনডাঙ্গার টন্ডু চা বাগান, ছাড়টন্ডু ও খয়েরবাড়ি এলাকা। এই চরম দুর্যোগের সময় থেকেই যুদ্ধে নামেন এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা।

    এনডিআরএফের তৈরি জিপ লাইনে ঝুলে, ভাঙা সেতুর খাদ পেরিয়ে দুর্গতদের কাছে পৌঁছানোর সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কালীপুজোর মতো উৎসবের দিনেও স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেছেন একই নিষ্ঠায়। নদী পার হয়ে ট্র্যাক্টরে চেপে তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলিতে, দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা। প্রতিদিনই মডেল ভিলেজে গিয়ে ক্যাম্প করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী।

    নাগরাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মোল্লা ইরফান হোসেন বলেন, “এটাই আমাদের কাজ। মানুষের পাশে থাকতে কর্মীদের প্রচেষ্টায় কোনও খামতি থাকবে না ভবিষ্যতেও।” নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, “স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কর্মীরা যেভাবে এখনও কাজ করে যাচ্ছে, তা বলার ভাষা নেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই পরিশ্রমের জন্য বন্যার পর এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষজনদের বড় কোনও অসুখ হয়নি। কারোর জ্বর, সর্দিকাশি হলেই সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জায়গায় জায়গায় চলছে মেডিকেল ক্যাম্প।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “ডাক্তারবাবুরা খুব ভালো কাজ করছেন আমাদের গ্রামে।”

    এই ঘটনায় প্রশংসার ঝড় উঠেছে স্থানীয় মহলে। প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই একবাক্যে বলছেন, নাগরাকাটার স্বাস্থ্যকর্মীদের এই মানবিক উদ্যোগ সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক।
  • Link to this news (প্রতিদিন)