অর্ণব দাস, বারাসত: কালীপুজোর ভিড় সামলাতে বারাসত লাগোয়া জাতীয় সড়ক জুড়ে ব্যারিকেড দেওয়া, জায়গায় জায়গায় নো-এন্ট্রি। এমনই ব্যবস্থা করেছে বারাসত জেলা পুলিশ। আর এতে পদে পদে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন দর্শনার্থীরা। দূরদূরান্ত থেকে বারাসতের বিখ্যাত কালীপুজোর মণ্ডপ, আলোকসজ্জা দেখতে আসা অনেকেই সমাজমাধ্যমে এনিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। আর ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে সোশাল মিডিয়াকেই পুলিশ হাতিয়ার করেছে বলে মত অনেকের। সেই কারণেই একটু বেশি রাতে তুলনামূলক ভিড় কম থাকার সময় ফেসবুক লাইভ করে পুলিশ কর্তারা ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
কোথা থেকে মণ্ডপে পৌঁছনো যাবে? সেখান থেকে বেরিয়ে কোন পথে গিয়ে অন্য মাতৃপ্রতিমা দর্শন করতে পারবেন? তা নিয়ে শুধু দর্শনার্থীরাই নয়, সাধারণ মানুষ এমনকী পুজো উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই পুলিশের আচরণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, প্রতিদিন বারাসত শহর জুড়ে বর্ণময় আলোকসজ্জা এবং রকমারি মণ্ডপ দেখতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। কিন্তু ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বারাসত শহরের জায়গায় জায়গায় ‘রিয়েল টাইম ক্রাউডে’র কথা বলে অলিগলিতে ব্যারিকেড ও নো-এন্ট্রি করে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়েছে দর্শনার্থী থেকে বাইক আরোহীদের। এনিয়ে বেশিরভাগের অভিযোগ, অযথা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ভিড় সামাল দিতে গিয়ে উল্টে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনেক দূরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার নিয়েও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে।
যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বারাসত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বিগত বছরে যশোর রোড এবং জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ নো-এন্ট্রি থাকত। কিন্তু এবছর জাতীয় সড়কে দু’চাকা ও চারচাকা কিছু কিছু জায়গায় নো-এন্ট্রি আছে। যশোর রোড টু-ওয়ে চালু আছে। এই বছর প্রথম পার্কিংয়ের সুবিধা আছে। সমাজমাধ্যমে ৫০ শতাংশ মানুষ পুলিশের নিন্দা করলে পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ প্রশংসাও করছে।”