নয়াদিল্লি: আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকে কুয়ালালামপুরে সশরীরে যোগ দেবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীপাবলির মরশুমে তিনি দেশেই থাকতে চান। তাই এই বৈঠকে তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফোনে কুয়ালালামপুরের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন মোদি। তবে বিরোধীরা বলতে শুরু করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ বৈঠকের অন্যতম প্রতিনিধি। ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর দাবি সহ নানা ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে যাতে মুখোমুখি হতে না হয়, তাই প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জানার পরেই কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আসিয়ান বৈঠকে মোদির উপস্থিতি নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ছিল। এখন জানা গেল তিনি যাচ্ছেন না। এর অর্থ তিনি বিশ্বনেতাদের জড়িয়ে ধরে ছবি তোলার বহু সুযোগ হাতছাড়া করবেন। বিশ্বগুরু হিসেবে নিজেকে তুলে ধরাও হবে না তাঁর।’ এক্স হ্যান্ডলে জয়রামের খোঁচা, ‘তাঁর না যাওয়ার কারণ, খুবই সহজবোধ্য। তিনি ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়ে আর বেইজ্জত হতে চাইছেন না। এ কারণেই গাজা শান্তি বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েও গত সপ্তাহে মিশর যাননি।’
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে আসিয়ান শীর্ষ বৈঠক। চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। সংগঠনের ১০টি সদস্য দেশের পাশাপাশি বৈঠকে চীন, জাপান, আমেরিকার মতো বাণিজ্য সহযোগী দেশ হিসেবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে ভারতও। বৃহস্পতিবার সাত সকালে এক্স হ্যান্ডলে মোদি তাঁর সশরীরের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘আমার বন্ধু মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে কথা হল। আসিয়ানের চেয়ারম্যানশিপ পাওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম। এই বৈঠক যাতে সফল হয়, তার জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছি। আসিয়ান-ইন্ডিয়া বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা তাঁকে জানিয়েছি।’ আনোয়ার ইব্রাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোন করেছিলেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রযুক্তি, শিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।’