• বন্ধুত্ব ধর্ষণের ছাড়পত্র নয়: দিল্লি হাইকোর্ট
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: বন্ধুত্ব থাকলেই ধর্ষণের লাইসেন্স পাওয়া যায় না। বন্ধুত্বের খাতিরে কারও উপর বারংবার যৌন নির্যাতন চালানো, তাকে আটকে রাখা বা নির্মমভাবে মারধর করা যায় না। এক কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে সম্প্রতি এমনই জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। নির্যাতিতা পূর্ব পরিচিত। তার সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে। এমনই যুক্তি দিয়ে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু শেষমেশ তাতে কোনও সাড়া দেননি বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা। এর আগে চারবার অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। কিন্তু এখনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও সাহায্য করেননি তিনি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরীর প্রতিবেশী। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি কিশোরীকে তার বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। তারপর সেখানেই তাকে আটকে রেখে বারবার ধর্ষণ করে। নির্যাতিতাকে মারধরও করা হয়। এমনকি কারও কাছে মুখ খুললে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় ওই ব্যক্তি। পরে মামলা পৌঁছোয় দিল্লি হাইকোর্টে। অভিযুক্তের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, কিশোরী পূর্ব পরিচিত। উভয়ের সম্মতিতেই সব কিছু হয়েছে। তাছাড়া ১১ দিন পর এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাই এই মামলার ভিত্তি নেই। যদিও বিচারপতির বক্তব্য, লজ্জায়, ভয়ে কিশোরী প্রথমে কিছু বলতে পারেনি। তাই এই ধরনের মামলায় দেরিতে এফআইআর স্বাভাবিক। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে কোনওভাবেই ছাড় পাওয়া যাবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)