• মহাজোটের উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুকেশ সাহানি
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • পাটনা: বলিউডের ময়দানে তাঁর কেরিয়ার গড়ার স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে এবার রাজনীতির ময়দানে বড় হাতছানি অপেক্ষা করছে মুকেশ সাহানির সামনে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল মহাজোট। বিরোধী জোট জিতলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় উত্থান হবে বিকাশশীল ইনসাল পার্টি (ভিআইপি)-এর সুপ্রিমোর। ছটপুজোর আগে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে তাঁর নাম ঘোষণা হতে স্বস্তি পেয়েছেন মাল্লাপুত্র মুকেশ। 

    এই ছটপুজোর হাত ধরেই বিহারের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। সেটা ২০০৮ সাল। তার আগে অবশ্য তাঁর লক্ষ্য ছিল অন্য। বলিউড। মুম্বইয়ে কেরিয়ার গড়বেন বলে পড়াশোনা বেশি দূর করেননি। ক্লাস এইটে ছেড়ে দেন স্কুল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে পাড়ি দেন স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে। কাজ শুরু করলেন সেট ডিজাইনার হিসেবে। বেশ কয়েক বছর স্ট্রাগলের পর ‘মুকেশ সিনে ওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি খুললেন। ২০০২ সালে এল বড় সুযোগ। শাহরুখ খান অভিনীত ‘দেবদাস’ ছবির সেট ডিজাইনের। এরপর ফিরে আসেন নিজের রাজ্যে। বড় মাপে ছটপুজোর আয়োজন করে সকলের নজর কাড়েন ২০০৮ সালে। মূলত সাহানিদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। ২০১০ সালে গড়ে তোলেন ‘সাহানি সমাজ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান’। এর মাধ্যমেই রাজনীতিতে প্রবেশের পথ খুলে যায়। 

    ২০১৫ সালে বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, সাহানিদের তপশিলি জাতির তালিকাভুক্ত করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়ায় বিজেপি ছেড়ে দেন। ২০১৮ সালে ভিআইপি দল গড়েন। ২০১৯ সালে মহাগঠবন্ধনের সঙ্গী হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন। জিততে পারেননি। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে আসনরফা ঠিক না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে যোগ দেন এনডিতে। ১১টি আসনে লড়ে জিতেছিলেন চারটিতে। পরে তিনজন বিধায়ক তাঁর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি ফের চলে আসেন বিরোধী জোটে। গতবছর লোকসভা নির্বাচনে তিনটি আসনে লড়েন। ফল ভালো হয়নি। তাই বিধানসভা নির্বাচন ছিল তাঁর পাখির চোখ। দাবি করেছিলেন প্রায় ৫০টি আসন। বিরোধী জোট সে দাবিকে মান্যতা দেয়নি। অবশেষে ১৫টি আসন রফা হয়। তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিও মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। 
  • Link to this news (বর্তমান)