লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাকে ভারতে ঢুকতে বাধা, সরব কংগ্রেস
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি: বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ’-এর (সোয়াস) অধ্যাপিকা ফ্রান্সেসকা ওরসিনিকে। অভিযোগ, গত সোমবার গভীর রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেছে কংগ্রেস। গোটা ঘটনাটি ভারতের ঐতিহ্য এবং বহুত্ববাদী চেতনার প্রতি অবমাননা বলে মন্তব্য করেছে হাত শিবির। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে ‘নির্বোধ ও আতঙ্কিত’ বলে অভিহিত করেছেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহও।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি লেখেন, ‘হিন্দি ও উর্দু সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে ওরসিনি যে কাজ করেছেন, তা ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সমৃদ্ধ করেছে। যা ভক্ত ব্রিগেডের অ্যালার্জির কারণ। তাঁকে ভারতে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় নয়। এটা আসলে স্বাধীন, চিন্তাশীল, বিশিষ্ট চিন্তাবিদদের প্রতি মোদি সরকারের অপছন্দের বহিঃপ্রকাশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে হংকং থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ফ্রান্সেসকা ওরসিনি। চীনে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য নামেন দিল্লিতে। পাঁচ বছরের বৈধ ই-ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘আমাকে ডিপোর্ট করা হচ্ছে। এটুকুই জানি।’ এর পরেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন রামচন্দ্র গুহ সহ বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। এদিন তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে মোদি সরকারকে তুলোধোনা করে কংগ্রেস।