ভূতনির নাজিরুদ্দিন টোলায় দু’বছর ভাঙা রাস্তা দু’শো মিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে পাঁচ কিমি
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির নাজিরুদ্দিন টোলায় দু’বছর ধরে ভাঙা রাস্তা। গত বছর বন্যায় রাস্তা ভাঙলেও এখনও কোনও কাজ করা হয়নি। তাই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। রাস্তা বেহাল হওয়ায় বর্তমানে দু’শো মিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানালেও স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরুদ্দিন টোলায় প্রায় চারশো পরিবারের বাস। কেশরপুরে বাঁধ ভেঙে গঙ্গার জলে প্লাবিত হয় গোটা ভূতনি। নাজিরুদ্দিন টোলার সঙ্গে উত্তর চণ্ডীপুরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢালাই রাস্তা। সেটি জলের স্রোতে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ। বন্যা পরিস্থিতি ঠিক হতেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন জানান স্থানীয়রা। অভিযোগ, এলাকা পরিদর্শন করে হেঁটে যাওয়ার জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। ঢালাই রাস্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছু হয়নি। আগে এই ঢালাই রাস্তা দু’শো মিটার পেরলেই যাওয়া যেত উত্তর চণ্ডীপুরের সমস্ত এলাকায়। এখন হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াত করা গেলেও অন্য যানবাহন হলে প্রায় পাঁচ কিমি ঘুরতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আকমল বলেন, বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশুদের একা ছাড়তে ভয় পান অভিভাবকরা। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে পাঁচ কিমি ঘুরে বা খাটিয়ায় চাপিয়ে রাস্তার ওপারে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা সংস্কারের জন্য বারবার জানালেও উদ্যোগ দিচ্ছে না পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন।
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা এলাকার জনপ্রতিনিধি আমেনা খাতুন বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বেশকিছু মাটির কাজ হয়েছে সেখানে। কিন্তু এবছর বন্যায় আবার ভেঙেছে রাস্তাটি। সেখানে কালভার্ট করা হবে। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। নিজস্ব চিত্র