সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ। সেই সঙ্গে জুয়ার আসর। এমন অবস্থা শিলিগুড়ি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে রয়েছে টাউন স্টেশন, লোকাল বাসস্ট্যন্ড, শিলিগুড়ি কোর্ট, হকার্স কর্নার। বহু ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস। রয়েছে একাধিক বস্তি। গোটা এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কাউন্সিলারের ভূমিকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে নাগরিকদের মধ্যে।
টাউন স্টেশনের পাশে রেলের জমিতে জমজমাট স্থায়ী সবজি বাজার রয়েছে। বহু দোকান উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে। জেলখানা রোডের অর্ধেকের বেশি চলে গিয়েছে দোকানের দখলে। রাস্তাজুড়ে পেঁয়াজের দোকান। সমস্যা আরও বাড়িয়েছে বাজারে পচা সবজি, নোংরা রাস্তার উপর স্তূপ করে রাখায়। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাজুড়ে পচা সবজির গন্ধে যাওয়া যায় না। সকাল থেকে গাড়ি দাঁড়িয়ে সবজি ওঠানামা করায় এই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বিচারাধীন বন্দিদেন শিলিগুড়ি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এই রাস্তা দিয়ে। প্রায়ই সেই গাড়ি ভিড়ে আটকে পড়ে। এর পাশাপাশি অভিযোগ, লিচু বাগান, রানা বস্তি, সুভাষপল্লি, হকার্স কর্নার সহ বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জাল নিয়মিত সাফাই হয় না। রাস্তার পাশেই দিনের সিংহভাগ সময় পড়ে থাকে।
ওয়ার্ডের সামগ্রিক বেহাল অবস্থা নিয়ে কাউন্সিলারের ভূমিকায় ক্ষোভ বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, এই পরিবেশ আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে বস্তি এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই প্রকাশ্যে জুয়ার বোর্ড বসায়। সকলেরই বক্তব্য, কাউন্সিলার বহিরাগত হওয়ায় তিনি নিয়মিত ওয়ার্ডে নজর রাখতে পারছেন না। কাজ পরিচালনার জন্য তিনি প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন। তাঁরাও ঠিকমতো এলাকার খোঁজখবর রাখতে পারছেন না। প্রতিটি মানুষের কাছে তাঁরা পৌঁছতে পারছেন না। আগের কাউন্সিলার নিখিল সাহানি ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায় নিয়মিত এলাকা ঘুরে দেখে কাজ করতেন।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার সঞ্জয় শর্মা। তিনি বলেন, কালীপুজোর সময় সাফাই কর্মীর সংকট থাকায় কিছু এলাকায় জঞ্জাল জমেছে। এছাড়া টাউন স্টেশন লাগোয়া জেলখানা রোডের ধার যে বাজার রয়েছে, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেখানে দোকান বাড়েনি। নিয়মিত বর্জ্য সাফাই হয়। কিন্তু বাজারে অনেক নোংরা থাকে। সবাই একসঙ্গে ফেলেন না। তাই মাঝেমধ্যে কিছু জঞ্জাল থেকে যায়। জুয়ার আসর বসার কথা তিনিও জানেন। বলেন, পুলিশকে বলার পর পুলিশ ভ্যান মাঝেমধ্যেই টহল দেয়। নিজস্ব চিত্র।