ভেসেছে খেত, গ্রামীণ বাজারে হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা মহকুমার গ্রামীণ বাজারগুলিতেও হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদীর চর এলাকার প্রচুর জমির সবজি খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এ কারণে একদিকে যেমন সবজি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনই বাজারে সবজির জোগানও কমেছে। কালীপুজো, ভাইফোঁটায় সবজি বাজার তাই আকাশছোঁয়া। খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি দাম বেশি, তাই তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন বাধ্য হচ্ছেন। একইসঙ্গে মাথাভাঙা কৃষক বাজার, দোলং মোড় বাজার, হিন্দুস্তান মোড় বাজার, নিশিগঞ্জ বাজার, ঘোকসাডাঙা বাজারে যে পরিমাণ সবজি আসছে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে কিনছেন পাইকাররা।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জলঢাকা, তোর্সায় ব্যাপক জলস্তর বেড়েছিল। নদীর চরে বেগুন, শসা, পটল, মুলো, ঝিঙে চাষ করেন স্থানীয় চাষিরা। মাথাভাঙা-২ ব্লকের তোর্সায় ভুটানের ডলোমাইট মিশ্রিত পলি পড়ে বিঘার পর বিঘা বেগুন খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পটল খেতে গাছ মরে গিয়েছে। মাথাভাঙা-২ ব্লকের একাংশে আগাম ফুলকপি চাষ হয়। বেশকিছু জায়গায় ফুলকপি খেতও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাজারে ফুলকপি এলেও দাম অনেকটাই বেশি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন আগেও বেগুন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। হঠাৎ করে বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটলও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ফুলকপি ১০০ টাকা। সবজি বাজারে গেলে হাত পুড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। মাথাভাঙা-২ ব্লকের সবজি চাষি বীরেন সরকার বলেন, এ বছর প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। তোর্সা নদীর পাড়ে আরও কয়েকজন চাষ করেছিলেন। সবে ফুল আসা শুরু হয়েছিল। নদীর জল বাড়ায় সমস্ত খেত ডুবে যায়। এখন খেতে ডলোমাইটের পুরু আস্তরণ। গাছ মরে গিয়েছে। প্রচুর সবজি খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
মাথাভাঙা-২ ব্লক কৃষি আধিকারিক মলয়কুমার মণ্ডল বলেন, দুর্যোগের সময় ভারী বৃষ্টিতে আমন ধান, সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। মাথাভাঙা কৃষক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সমীর রায় বলেন, সবজি বাজারে এখন যে পরিমাণ সবজি আসছে তার থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীর সংখ্যাটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবে দামও বাড়ছে। খুচরো বিক্রেতারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই বাজারে দাম বেশি হচ্ছে সবজির। ক্ষতিগ্রস্ত বেগুন খেত। - নিজস্ব চিত্র।