আড়ংঘাটায় কালীপুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধে ভিআইপি পাস বিক্রির অভিযোগ
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: কালীপুজোকে কেন্দ্র করে ঝলমলে আড়ংঘাটা। থিম ভাবনার উজ্জ্বল নদীয়ার ছোট্ট এই জনপদ। কিন্তু, সেই উৎসবে ভিআইপি পাস বিক্রির অভিযোগ উঠল প্রায় সমস্ত ‘বিগ বাজেট’ পুজোগুলির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দর্শনার্থীরা ক্ষুব্ধ।
প্রতিবছর কালীপুজোয় অসাধারণ উপস্থাপনায় মন জয় করে নেয় আড়ংঘাটার ডজন খানেক পুজো কমিটি। তাদের থিম ভাবনার স্বাদ পেতে আসেন দূর দূরান্তের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই অল্প পরিসরে একগুচ্ছ পুজোর জন্য বেশ ভালোই ভিড় হয়। কলকাতার পুজোগুলির মতো সাধারণ লাইনের পাশে রাখা হয় ভিআইপি লাইন। সাধারণ লাইনে মণ্ডপে ঢুকতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আর ভিআইপি পাস থাকলে সহজেই মণ্ডপে ঢোকা যায়। আর ভিড়কে কাজে লাগিয়েই ভিআইপি গেটের পাস ইচ্ছেমতো দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কুড়ি টাকা তো কোথাও ৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ওই পাস। চাহিদা বাড়লে ভিআইগপ পাস ‘নিলাম’ পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
দর্শনার্থীদের অভিযোগ, মণ্ডপের সামনে কৃত্রিমভাবে ভিড় তৈরি করা হচ্ছে। আর তারপর সেই ভিড় দেখিয়ে অনেক দর্শনার্থীকে ভিআইপি পাস কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি পুজো কমিটি রীতিমতো মাইকে হেঁকে পাস বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। যেমন তাহেরপুর থেকে আসা বনমালী বিশ্বাস বলেন, আমাদের তো দেখে মনে হয়েছে সাধারণ লাইনের ভিড় ইচ্ছাকৃতভাবে করানো হচ্ছে। ওই লাইনে থাকা দর্শনাথীদের বলা হচ্ছে ভিআইপি লাইন দিয়ে তাড়াতাড়ি ঢোকা যাচ্ছে। এর জন্য পাস কিনতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়ংঘাটার এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিবছরই এই ঘটনা ঘটে। জিনিসপত্র বিক্রি করার মতো ভিআইপি পাস বিক্রি করা হয়। তাতে আবার লেখা থাকে অনুদান। এটা আমাদের আড়ংঘাটাবাসীর কাছে যথেষ্ট লজ্জাজনক।
কম বেশি প্রায় সমস্ত ক্লাবের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে শতদল ক্লাবের অন্যতম পদাধিকারী আশিসবরণ উকিল বলেন, গতবছর এরকম অভিযোগ উঠেছিল ঠিকই। কিন্তু, এবছর এরকম কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। আবার ইয়ং স্টার ক্লাবের রতন রায় পাস বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর দাবি, এই টাকা অনুদান হিসেবে নেওয়া হয়। আমরা সারাবছর সামাজিক কাজকর্ম করি। কোনও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা হয় না।