• রানিকুঠি মোড় থেকে অটো স্ট্যান্ড স্থানান্তরিত হল চোপড়া গলিতে
    বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে বাস স্টপ, রয়েছে অটো এবং রিকশ স্ট্যান্ডও। সেই সঙ্গে পথচারী থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে থাকা নামী স্কুলের পড়ুয়ারা চলাচল করে। ফলে প্রতিদিন রানিকুঠির মোড়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দিত। টালিগঞ্জের রানিকুঠির মোড়ে হত নিত্য যানজট। সেইসব সমস্যা থেকে এবার মুক্তি পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ওই পথে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রীরা। রানিকুঠির মোড়ে থাকা অটো স্ট্যান্ড তুলে দিয়ে পাশের চোপড়া গলিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সম্প্রতি সেই নতুন অটো স্ট্যান্ড উদ্বোধন করেন তিনি। হেঁটে গোটা জায়গা ঘুরে দেখেন। 

    রানিকুঠির মোড়ে যানজটে নিত্যদিন ভুগতে হত সকলকে। মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যালে একটা ‘হচপচ’ অবস্থা থাকত দিনভর। রাস্তার উপরেই সার করে দাঁড়ানো থাকত অটো। সেখান থেকেই যাত্রীরা উঠতেন এবং নামতেন। অন্যদিকে রাস্তার এক পাশে রয়েছে রিকশ স্ট্যান্ড। অটো এবং রিকশ চালকদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ। রয়েছে জি ডি বিড়লা স্কুল। নিয়মিত সেখানে পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। অটো, রিকশ, বাস চলাচলের জেরে পথযাত্রীদের হাঁটা দায় হত। রানিকুঠির মোড় যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগী হন অরূপ বিশ্বাস। অটো মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তারপর ১৭ অক্টোবর থেকে সেখানকার অটো স্ট্যান্ড রানিকুঠির মোড় থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে চোপড়া গলিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। একসময় যে গলি কার্যত খোলা ভ্যাটে পরিণত হয়েছিল, সেখানকার জঞ্জাল সাফ করে, রাস্তা মেরামত করে, নতুন আলো বসিয়ে অটো স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চালু হয়েছে একটি পরিস্রুত পানীয় জলের কিয়স্ক। স্থানীয় বাসিন্দা শৈলেন চক্রবর্তী বলেন, এখন রানিকুঠির মোড়ে আর কোনও অটো আসে না। সকলকে হয় রানিকুটি পুকুরপাড়ের গলিতে নামতে হয়, আর তা না হলে সোজা চোপড়া গলিতে স্ট্যান্ডে যেতে হয়। ভালোই হয়েছে। রানিকুঠির মোড়ে রোজ যানজটে চুড়ান্ত নাকানিচোবানি খেতে হত। রাস্তায় অটো না থাকায় আর রিকশগুলিও অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ায় এখন জায়গাটা যানজট মুক্ত হয়েছে। অটো ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, কিছু রানিং প্যাসেঞ্জার কম হচ্ছে। তবে মোটের উপর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। রানিকুঠির মোড়ে যানজট হত সেটা আর হচ্ছে না। মোড় দিয়ে ঘোরাতে গেলে বাইক, রিকশর সঙ্গে টুকটাক ধাক্কায় মাঝেমধ্যেই সমস্যা হত। নিত্য ঘটা সেইসব ঝঞ্ঝাট বন্ধ হয়েছে। রিকশ ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক বিজয় বৈদ্য বলেন, আগে আমরা রানিকুঠির মোড়ে মন্দিরের কাছে রাস্তার উপর রাখতাম। কিন্তু দল এবং প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যানজটের কারণে রাস্তার উপর আর গাড়ি রাখা যাবে না। আপাতত আমরা রাস্তার দিক থেকে সরে এসে বাঁদিকে গাড়ি রাখছি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত বলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়েছে। রানিকুঠির মোড়ে যানজট অনেকটাই কমেছে। চোপড়া গলিটাও পরিস্কার হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)