গাইঘাটায় মারধর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি, আতঙ্কে নির্যাতিতা
বর্তমান | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: গাইঘাটায় এক তরুণী ও তাঁর বন্ধু সহ পরিবারের সদস্যদের মারধরের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে চার অভিযুক্তের গ্রেফতারির পরেও আতঙ্কিত নির্যাতিতা। ঘটনার পর থেকে বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। নির্যাতিতা বলেন, চারজন গ্রেফতার হলেও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। যার নেতৃত্বে এতবড় ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ এখনও তাঁকেই ধরতে পারেনি। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। সে জন্যই অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক লোককে একত্রিত করে সেদিন হামলা চালিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। সেদিন পিসতুতো বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দাদাও। তিনিও দাবি করেন, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে এখনও পুলিশ ধরতে পারেনি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তারা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঠাকুর দেখে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন গাইঘাটার বাসিন্দা এক তরুণী ও তাঁর বন্ধু। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার চাঁদপাড়া
স্টেশন সংলগ্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল এলাকা থমথমে। যে রাস্তায় ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানকার আশেপাশের লোকজন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ঘটনাস্থলে সেভাবে কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে। পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে রেললাইন।
জানা গিয়েছে, রাত বেশি হলেই ওই এলাকার দখল নেন মদ্যপ যুবকরা। বসে মদের আসর। আর এইসব আসর থেকেই চলে মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে এলাকার অপর এক তরুণীকে উদ্দেশ্য করেও কটূক্তি করেছিলেন কয়েকজন দুষ্কৃতী। কিন্তু ওই তরুণীর পরিচয় জানতে পেরে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। যদিও এবিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আর স্থানীয় চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দীপককুমার দাস বলেন, রাস্তায় আলো ছিল। বর্ষায় কিছু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুত ওখানে ফের আলো বসিয়ে দেব। -নিজস্ব চিত্র