নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দত্তপুকুরে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণে বৃহস্পতিবার ধৃত সাইফুল আলমকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। এই পুনর্নির্মাণের সময় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন সাইফুল। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানার কোটরা পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীর। গত শনিবার সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। সোমবার রাতে কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায় বন্ধ একটি ইটভাটার ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বারাসত হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষার পর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপরেই নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন দত্তপুকুর থানায়। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সাইফুলকে ছোট জাগুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে এখন পুলিশি হেপাজতে রয়েছে। এদিন ধৃতকে নিয়েই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ। তাকে এলাকায় নিয়ে আসার পরেও কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্ধ ইটভাটার কোথায় কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন, সেই জায়গাটিও এদিন দেখিয়েছেন সাইফুল। পাশাপাশি ধর্ষণের কথাও তিনি পুলিশের কাছে স্বীকারও করে নেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাইফুল এলাকায় গাছ থেকে ডাব পাড়ার কাজ করেন। মদ, গাঁজার নেশাও করেন। মহিলাদের কটুক্তি করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আগেও এই ধরনের ঘটনার জন্য এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ফের একই ঘটনা ঘটালেন।