নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সল্টলেকে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার নির্মল দত্তকে খুনের চেষ্টায় অবশেষে এক যুবক এবং তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনারপুরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম গৌতম মণ্ডল। সে বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তার সঙ্গীর নাম প্রসেনজিৎ পাঁজা। শুক্রবার ধৃতদের পরিচয় সামনে আসতেই ২০২১ সালের নির্বাচনে হামলার স্মৃতি উসকে দিয়েছে। নির্মলবাবুর অনুগামীদের দাবি, ধৃত গৌতম বিধাননগর পুরসভার এক নেতার অনুগামী। ’২১ সালের নির্বাচনে সে বিজেপি প্রার্থীর হয়েই কাজ করেছিল। ভোটের পর নির্মলবাবুর এলাকায় একাধিক বাড়িতেও সে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। ভোটের ফলাফলের পর সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুরনো আক্রোশ থেকেই নির্মলবাবুর উপর হামলা করেছিল বলে অনুমান পুলিশের। তবে, তার মাথার উপর কেউ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কালীপুজোর দিন সকালে ইএম বাইপাস লাগোয়া সল্টলেক দত্তাবাদে বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনে নির্মলবাবুকে খুনের চেষ্টা করা হয়। মাস্ক পরা এক যুবক পিস্তল বের করে পরপর দু’বার গুলি করার চেষ্টা করে। কিন্তু, গুলি বের হয়নি। পিস্তলের বাঁটে নির্মলবাবুকে মারধর করে সে পালিয়ে যায়। বর্তমানে নির্মলবাবুর স্ত্রী আলোরানি দত্ত ওই ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে হামলাকারীর ছবি উদ্ধার করে পুলিশ। নির্মলবাবুর দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী তাকে চিহ্নিত করা হয়। তারপরই পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, তার নাম গৌতম মণ্ডল। সোনারপুরে প্রসেনজিতের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কমিশনারেটের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, পুরোনো শত্রুতার জেরেই নির্মলবাবুর উপর হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। পিস্তলটি উদ্ধার করা যায়নি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে এই হামলার অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।