শবরীমালা মন্দিরের সোনা চুরি ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এ বার যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি ওই মন্দির কমিটির প্রাক্তন আধিকারিকারিক। ধৃতের নাম বি মুরারি বাবু। এই চুরির সঙ্গে তাঁর যোগ আছে বলে অভিযোগ।
এই চুরির ঘটনার তদন্ত করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী টিম বা SIT গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বি মুরারি বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে SIT। জানা গিয়েছে বি মুরারি বাবু ওই মন্দিরের বোর্ড সদস্য ছিলেন। সোনা চুরি এবং উধাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তাঁকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (Travancore Devaswom Board (TDB))।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে মুরারি বাবুর চানগনাসেরির বাড়িতে অভিযান চালায় সিট। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় তিরুবনন্তপুরমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ দপ্তরে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে আসেন তাঁর আত্মীয়রা।
জানা গিয়েছে, শবরীমালা মন্দিরের দরজা থেকে প্রায় সাড়ে চার কেজি সোনা চুরি করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। শবরীমালা মন্দিরের দ্বাররক্ষকের সোনার দরজা খুলে পাঠানো হয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু তা ফের মন্দিরে নিয়ে আসার পরে দেখা যায় সাড়ে চার কিলো সোনা উধাও। খোলার সময়ে সেই সময়ে দরজার ওজন ছিল ৪২.৮ কিলোগ্রাম। পরে যখন ইলেক্ট্রোপ্লেটিংয়ের জন্য তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় তখন সেই দরজার ওজন দাঁড়ায় ৩৮.২৫ কিলোগ্রামে। ওই সোনা উধাও ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে কেরালা হাই কোর্ট।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুরারি বাবুকে মূলত দু'টি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। একটি হল দেবমূর্তির সোনায় মোড়ানো প্লেট থেকে সোনা লোপাটের অভিযোগ। অন্যটি হল শ্রীকোভিল (মন্দিরের গর্ভগৃহ) দরজার কাঠামো ও সোনা-মোড়ানো প্লেটের অনিয়ম ও সোনার পরিমাণ কমে সংক্রান্ত।
তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে প্রধান অভিযুক্ত উন্নিকৃষ্ণন পোত্তি যখন দ্বাররক্ষকের মূর্তির ইলেকট্রোপ্লেটিং করার প্রস্তাব TDB-কে দেন, তখন মুরারি বাবুই সেই প্রস্তাব বোর্ডের কাছে পাঠান। এবং, জানান যে সোনা-আবৃত প্লেটগুলো তামার তৈরি বলে বোঝানো হয়েছে। সেই সময়ে তিনি হরিপাদের ডেপুটি দেবস্বম কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ইতিমধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত উন্নিকৃষ্ণন পোত্তিকে গ্রেফতার করেছে SIT। এই মামলা তদন্তে মুরারি বাবু ছাড়াও TDB-র আরও সাতজন আধিকারিকের কাজ নিয়ে গুরুতর অনিয়ম ও গাফিলতির কথাও উল্লেখ রয়েছে।