কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক হলেন অম্বিকা রায় ও বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে লড়াই দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, বুধবার রাতে বিধায়ক অম্বিকার অনুগামীরা আচমকা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উদ্বোধন করা সিএএ সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করে একটি বাইকও।
এই প্রসঙ্গে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তারক সরকার জানিয়েছেন, যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি করেন তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। শান্তনু ঠাকুর যে সিএএ ক্যাম্প উদ্বোধন করেছিলেন সেই ক্যাম্প অফিস ভাঙা হয়েছে। এই ঘটনায় যাঁরা অভিযুক্ত তাঁরাও বিজেপি করেন বলে তিনি শুনেছেন। এখানকার বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি দলের দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে তারকবাবু বলেন, ‘আমি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বকেও জানাবো।’
যদিও বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিধায়ক বলেন, রাত ১২ টার সময় কোন সিএএ ক্যাম্প খোলা থাকে? সিএএ ক্যাম্পের নাম করে রাতে মদ, মাংস খাওয়া হচ্ছিল। যাঁরা দিনে বিজেপি করে এবং রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আঁতাত করে তাঁরাই ভাঙচুর করেছে। তাঁরা বিজেপির কেউ না।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে কল্যাণী পৌরসভার পৌর পারিষদ ও কল্যাণী পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ মুখার্জি জানিয়েছেন, সিএএ ক্যাম্প মদ্যপদের দিয়ে চালাচ্ছে বিজেপি। ক্যাম্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির পার্টি অফিস হচ্ছে মোচ্ছবখানা। তৃণমূলের দায় নেই যে বিজেপির অফিসে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করবে। ওটা বিজেপির কালচার। নিজেরাই মদ্যপ হবে নিজেরাই ভাঙচুর চালিয়ে অন্য দলের দিকে আঙুল তুলবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির সাংসদ অনুগামী বনাম বিধায়ক অনুগামীদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।