সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণ করেছেন পুলিশ আধিকারিক! তার জেরে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। উল্লেখ্য, মাসচারেক আগেই তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় ডিএসপিকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠার ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের বাঁ হাতে লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। পাঁচ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করেছেন।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই জানা যায়, স্থানীয় ডিএসপির কাছে ফল্টনের তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। প্রবল মানসিক চাপ দিয়েছেন বাদনে-সহ তিনজন পুলিশ আধিকারিক, এই মর্মে চিঠি লেখেন চিকিৎসক। সেই চিঠি দেওয়ার মাত্র মাসচারেকের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক।
গোটা ঘটনায় মহাজুটি এনডিএ সরকারকে তুলোধোনা করেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে কং নেতা বিজয় নমদেবরাও ওয়াদেত্তিওয়ার লেখেন, ‘রক্ষকই তো ভক্ষক হয়ে গেল। পুলিশের কাজ রক্ষা করা, কিন্তু তারাই তো মহিলা চিকিৎসককে নির্যাতন করেছে। আসলে মহাজুটি সরকার এইভাবে পুলিশকে ঢাল করছে, তাই পুলিশও অত্যাচার চালাচ্ছে।’ যদিও মহাজুটি সরকারের তরফে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, চার মাস আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না? গোটা ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূলও।