• ‘১৯ শতাংশ মুসলিম কি শুধু ভোটই দেবে?’, সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে তোপের মুখে ‘মহাগটবন্ধন’
    প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। মুকেশ সাহানি উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বিহারের মহাজোট নিজেদের লড়াইয়ের মুখের নাম ঘোষণার পরই নয়া সংকটে। রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুসলিমদের একাংশ। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM প্রশ্ন তোলা শুরু করল, মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী সবই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলেন, তাহলে ১৯ শতাংশ মুসলমান কি শুধু মহাজোটকে ভোটই দিয়ে যাবে? তাঁদের ক্ষমতার শরিক করা হবে না?

    বিহারে মুসলমান এবং যাদবরা বরাবর আরজেডি এবং কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে থাকে। এটা সর্বজনবিদিত। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে ১৯ শতাংশ মুসলিম নিয়মিত বিরোধী জোটকে সমর্থন করলেও সে তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। টিকিট বণ্টনের ক্ষেত্রে, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে, সবেতেই বঞ্চিত সংখ্যালঘুরা। এবারের নির্বাচনের আগে জল্পনা ছিল, কংগ্রেসের তরফে কোনও একজন সংখ্যালঘু মুখকে উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মহাজোট তেমন কোনও ঘোষণা করেনি।

    সেটাকেই এবার হাতিয়ার করতে চাইছে AIMIM। মিম নেতা ওয়ারিস পাঠানের প্রশ্ন, “একজন যাদব নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হচ্ছে। একজন সাহানিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হল। তাহলে ১৯ শতাংশ মুসলিম কি শুধু ভোটই দিয়ে যাবে? তাঁদের ক্ষমতার অংশ দেওয়া হবে না?” মিমের বক্তব্য, আরজেডি এতদিন ধরে শুধু ভুল বুঝিয়ে নিজেদের মুসলিমদের ‘রক্ষাকর্তা’ বলে দাবি করে ভোট নিয়েছে। মুসলিমদের জন্য কাজের কাজ কিছুই করছে না। বিহারের জনবিন্যাস বলছে। যাদব ভোটার সংখ্যা ১৩-১৫ শতাংশ। আর সাহানি ভোটার সংখ্যা ২-৩ শতাংশ। যদিও মুকেশ সাহানি যে নিষাদদের সমর্থন পান, সেই নিষাদদের সংখ্যাটা ৯ শতাংশ। সেখানে মুসলমান সংখ্যা ১৯ শতাংশ। AIMIM-এর প্রশ্ন, ১৯ শতাংশ মুসলিম একনিষ্ঠভাবে সমর্থন করে লাভটা কী হল?

    ২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে AIMIM। সীমাঞ্চল এলাকায় ৫টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় ওয়েইসির দল। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই হারজিতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও পরে AIMIM-এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। এ বছর আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে লড়ার দাবি করছে মিম। সীমাঞ্চল-সহ মুসলিম বহুল ৩৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে ওয়েসির দল। তাঁদের জোটসঙ্গীরা প্রার্থী দিয়েছে আরও ৪৯ আসনে। এখন মহাজোট উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও মুসলিম নেতার নাম না ঘোষণা করায় সংখ্যালঘুরা ক্ষুব্ধ হলে, সরাসরি সেটার সুবিধা পেতে পারে মিম। সেই চেষ্টাই করছেন ওয়েসির দলের নেতারা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)