দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানার শৌচালয় থেকে কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। নরেন্দ্রপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার সকালে নিহতের পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে ওই কারখানায় বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা।
নিহত কবীর হোসেন মোল্লা। বছর তিরিশের ওই যুবক গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরন। পরিবারের লোকজনের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে তাই পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিজনেরা। অভিযোগ জানাতে তাঁরা কারখানা চত্বরে গিয়ে বাইকও দেখতে পান। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে পরিবারকে কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি বলেই অভিযোগ। শুক্রবার সকালে ওই কারখানার শৌচালয় থেকে কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় ভিতর থেকে শৌচালয়ের দরজা বন্ধ ছিল। সারা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে মুখে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে কবীরকে। তবে নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেননি তাঁর পরিজনেরা। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মাঝে দু’দিন কেটে গেলেও কীভাবে দেহ নজর এড়িয়ে গেল, সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সকলকে। পুলিশ পরিবারের লোকজনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।