সুবীর দাস, কল্যাণী: বিপুল সংখ্যায় ভোটার কার্ড উদ্ধার হল নদিয়ার কল্যাণীতে! ভবঘুরের ব্যাগ থেকে শয়ে শয়ে ওই ভোটার কার্ড পাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় আটক ওই সন্দেহভাজন যুবক। ওই ভোটার কার্ডগুলি কি জাল নাকি আসল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, এদিন কল্যাণী পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরচরে সন্দেহভাজন এক ভবঘুরে যুবককে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় দুই যুবকের তাঁকে দেখে সন্দেহ হয়। ওই যুবককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহ আরও দানা বাধে! এরপরই সঙ্গে থাকা ব্যাগ একপ্রকার জোর করে খুলতেই বেরিয়ে পরে প্রচুর সংখ্যায় ভোটার কার্ড। জানা গিয়েছে, একশোর উপর কার্ড উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির মধ্যে আবার তিনটি অসমের ভোটার কার্ডও রয়েছে!
এরপরই খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায়। পুলিশ ওই ভোটার কার্ড-সহ যুবককে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই যুবকের নাম উত্তম প্রসাদ। হুগলির হিন্দমোটর এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। জেরায় পুলিশকে ওই যুবক জানিয়েছেন, কল্যাণী সীমান্তে তাঁর দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাস্তার ধারে এদিন দুটি ভোটার কার্ড তিনি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। পাশেই একটি ঘাসের স্তূপ ছিল। পা দিয়ে ওই স্তূপ সরাতেই ওইসব ভোটার কার্ড বেরিয়ে পড়ে। সবকটি ভোটার কার্ডই নিতান্ত কৌতুহলবশত তুলে ব্যাগে ভরে নিয়েছিলেন উত্তম! পরে মাঝেরচর এলাকায় যেতেই সন্দেহের বশে ওই দুই যুবক তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কতটা সত্য বলছেন ওই যুবক? কার্ডগুলি কি আসল নাকি ভুয়ো? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটার কার্ড কল্যাণীর রাস্তার পাশে কি করে এল? কারা রাখল? কেনই বা ঘাসের স্তূপ দিয়ে ঢাকা দেওয়া ছিল? সেসব প্রশ্নও উঠেছে। কল্যাণী মহকুমাশাসকের দপ্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এদিকে ঘটনা নিয়ে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়িয়েছেন কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। অন্যদিকে বিজেপিকেই পাল্টা আক্রমণ করেছেন কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে।