দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে মারধর! কাঠগড়ায় কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের স্ত্রী
প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মালদহে। এনিয়ে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইংলিশবাজার থানায়। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে কাকলিদেবীর দাবি, তাঁর ওয়ার্ডে মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে এসেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ।
ঘটনা ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ছাত্রের নাম সংবিদ গোস্বামী। তিনি কলকাতায় পাঠরত। বাড়ি মালদহ শহরের কুট্টিটোলা এলাকায়। তাঁর বাবা কাজল গোস্বামী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য এবং বিজেপির সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, কলকাতায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সংবিদ গোস্বামী বৃহস্পতিবার রাতে ইংলিশবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের ধারে রাস্তায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন এসে তাঁকে জোর করে কলার ধরে তুলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে আক্রান্ত ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন, ওই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী কাকলি চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর ছেলেকে বেধড়ক পেটানো হয়। অকথ্য মারধরে ছেলে রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতেই ইংলিশবাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাবা কাজল গোস্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত সংবিদ গোস্বামী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোট লেগেছে মাথায়, মুখে। রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কাজলবাবু।
ইংলিশবাজার পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী। তিনি জানান, নিজের ওয়ার্ডে ওই ছাত্রকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। পরিস্থিতি সামলানোর কথা স্বীকার করলেও কাকলিদেবীর দাবি, তিনি ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও জানিয়েছেন, “মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।”