• ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র প্রদান, শিক্ষকদের চিন্তামুক্ত করতে ভাবনা পর্ষদের
    প্রতিদিন | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: ২০১২ সালে নিয়োগ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টেট পাশের সার্টিফিকেটই দেওয়া হয়নি। তখন অবশ্য শংসাপত্র দেওয়ার নিয়ম ছিল না। মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হত। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, সব প্রাথমিক শিক্ষকদের টেট দিতেই হবে। ২০১২ সালে যাঁরা টেট দিয়ে শিক্ষকতা করছেন, টেটের সার্টিফিকেট না থাকায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা কাটাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১২ সালে যাঁরা টেট দিয়েছেন, তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ভাবছে পর্ষদ।

    প্রাথমিকে টেট পাস সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সাল থেকে টেটের সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট পাস করলেই যে সকলেরই চাকরি হয়ে যাবে, এমনটা নয়। পাশের মেয়াদ তিন বছর থাকার জন্য টেট সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হয়। এখনও তাই চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই কর্মরত শিক্ষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েন। বিষয়টি পর্ষদের কানেও যায়। এনিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “শিক্ষকরা বিপদে পড়ক এমন চায় না পর্ষদ। সার্টিফিকেট আমরা দেব ঠিকই। কিন্তু তার আগে সেই সময়ের নিয়মকানুন কী ছিল, কেন সেসময় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি, আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করব, এগুলি সবটা ভাল করে দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

    পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে কর্মরত শিক্ষকদের কাছ থেকে একাধিক ফোন আসছে। তাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সেসময় কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, নিয়োগের নিয়ম কী ছিল, সেগুলি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর প্রাথমিকে টেট বাধ্যতামূলক হয়েছে। সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথম টেট নেওয়া হয়। ২০১২ সালে প্রাথমিক টেটে প্রায় ১২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)