• সর্বাধিক মিল শুভেন্দুর জেলায়
    আনন্দবাজার | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধনে’ (এসআইআর) রাজ্যে প্রাথমিক ম্যাপিংয়ে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের তালিকায় সবচেয়ে বেশি মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। এই জেলায় পুরনো ও নতুন তালিকায় মিল প্রায় ৬৭ শতাংশ বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী নিয়ে যিনি লাগাতার সরব, সেই শুভেন্দুর জেলায় এই চিত্র উঠে আসায় শুরু হয়েছে চর্চা।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার দুপুরে সমস্ত ইআরও, এইআরও এবং ব্লক স্তরের প্রধান প্রশিক্ষকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। তার আগে ২০০২ এবং ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল কমিশন নিযুক্ত বিএলওদের। পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি বিধানসভায় সেই কাজ শেষ হয়েছে। ১৯ অক্টোবর প্রতিটি বিধানসভা ভিত্তিক ম্যাপিংয়ের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে। রাজ্যে ম্যাপিংয়ে যেখানে গড় ৫২ শতাংশ, সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৬.৯৪ শতাংশ মিল মিলেছে।

    প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার ১৬টি বিধানসভার ৪,৪২০টি অংশে ৪২ লক্ষ ৮২ হাজার ২৫১ জন ভোটারের নাম ২০০২ সালে ছিল কিনা, তা মিলিয়ে দেখা হয়। ২৮ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭০০১ জনের নাম দুই তালিকাতেই আছে। জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি মিল পাওয়া গিয়েছে পটাশপুর বিধানসভায়। সেখানে ম্যাপিং মিলেছে ৭২.৬১ শতাংশ ভোটারের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খেজুরি ৭১.২২% আর সব থেকে পিছিয়ে হলদিয়া বিধানসভা, সেখানে মিল ৫৪.৪৩%।

    গত ৯ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খন্না, এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল-সহ কমিশনের অন্য আধিকারিকেরা কোলাঘাটে বৈঠক করে গিয়েছেন। গত বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনারও বৈঠক করেন। বিএলওদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। তারপরে বিএলও-দের মাধ্যমে ফর্ম বিলি শুরু হবে। এসআইআর চলাকালীন বিএলও-দের সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবক দরকার। আগামী চার দিনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম, মোবাইল নম্বর ডিইও-দের ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে হবে।

    কিছু দিন আগেও শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামে অনেক বাংলাদেশি মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছেন। দিঘার একাংশে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। অথচ জেলায় রাজ্যের মধ্যে ভোটার তালিকায় সব থেকে বেশি মিল খুঁজে পাওয়ায় তৃণমূলের জেলা (তমলুক) সভাপতি সুজিত রায়ের কটাক্ষ, ‘‘বিরোধী দলনেতা উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। আমাদের জেলায় ম্যাপিংয়ের কাজ সুন্দর ভাবেই হয়েছে।’’ বিজেপির জেলা (তমলুক) সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পালের মন্তব্য, ‘‘ম্যাপিং হয়েছে শুনেছি। নথিপত্র হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)