• চিত্রগুপ্তকে ফোঁটা দিয়ে মাতল কায়স্থপাড়া
    আনন্দবাজার | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ভাইফোঁটার সকালে বাড়িতে বাড়িতে যখন ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনেরা ফোঁটা দেওয়া শুরু করেছেন, তখন আরামবাগের বাতানল গ্রামের কায়স্থপাড়ার মহিলার পৌঁছে গিয়েছেন এলাকার চিত্রগুপ্ত মন্দিরে। পরম্পরা মেনে বৃহস্পতিবার, ভাইফোঁটার দিন চিত্রগুপ্তের মূর্তিতে ফোঁটা দিয়ে তবেই এ পাড়ায় ভাইফোঁটা শুরু হল।দিনভর চলল ‘যমালয়ে মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসাবরক্ষক’ বলে কথিত চিত্রগুপ্তের পুজোও। এ বার পুজো ১১৬ বছরে পড়ল।

    এই পুজোর প্রচলন কী ভাবে হয়েছিল, তা বলতে পারেন না প্রবীণেরা। অনেকের ধারণা, চিত্রগুপ্তকে সন্তুষ্ট রাখতেই পুজোর প্রচলন হয়ে থাকতে পারে। আগে পুজো ছিল একদিনের। এখন হয়েছে দু’দিনের। আবার কথিত, চিত্রগুপ্ত কায়স্থদের ‘আদি পিতা’। গ্রামে বা পাড়ায় দুর্গা, লক্ষ্মী বা কালীপুজো হলেওও কায়স্থপাড়া বিশেষ ভাবে মেতে ওঠে এই পুজোতেই। কর্মসূত্রে বাইরে থাকা বাসিন্দারা বাড়ি ফেরেন। ভিড় হয় আত্মীয়-স্বজনেরও। আলোয় সেজে ওঠে পুরো পাড়া।

    সবুজ রঙের চিত্রগুপ্তের মূর্তিটি চতুর্ভুজ। তার এক হাতে গদা, এক হাতে তরোয়াল, বাকি দু’টি হাতের একটিতে দোয়াত, অন্যটিতে কলম। মূর্তির সামনে বাহন মহিষ। বিগ্রহ থাকে পদ্মাসনে সিংহাসনে বসা অবস্থায়। পুজোর বিশেষ নিয়ম-কানুন না থাকায় নারায়ণ মন্ত্রেই চিত্রগুপ্তের পুজো করেন পূজারী।

    রাজ্যে একমাত্র বাতানলেই চিত্রগুপ্তকে পুজো করা হয় বলে দাবি বাতানল কায়স্থপাড়ার চিত্রগুপ্ত পুজো কমিটির। কমিটির সম্পাদক শিলাজিৎ সরকার বলেন, “১৩১৬ বঙ্গাব্দে বাতানলে চিত্রগুপ্ত পুজো শুরু হয়। একই সময়ে কলকাতার রাধানাথ মল্লিক লেনেও এই পুজো শুরু হলেও তা বছর ৬০ চলার পর বন্ধ। আমরা এখানকার ১৯টি পরিবার মিলে পুজো টিকিয়ে রেখেছি।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)