• লন্ডনের কর্মশালায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক
    আনন্দবাজার | ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • শান্তিনিকেতনের হাতের কাজ এবার বিদেশের মাটিতে তুলে ধরলেন বিশ্বভারতীর শিল্পসদনের অধ্যাপক বিশাল ভান্ড। তাঁর এমন প্রয়াসে খুশি বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীরা।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন লেখার মধ্যে দিয়ে বারবার প্রকাশ পেয়েছে তাঁতশিল্পের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ও ভালবাসা। শিল্পসদন প্রতিষ্ঠার পরে তাঁতশিল্পের বিকাশ তাঁর উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁতের পাশাপাশি বাটিক, কাপড়ের প্রিন্টিং ও হস্তশিল্পের বিভিন্ন শিল্পকর্মের কাজ করে থাকে শ্রীনিকেতনের শিল্পসদন। সে সব কাজ জগত বিখ্যাত।

    সেই শিল্প সদনেরই টেক্সটাইল বিভাগের অধ্যাপক বিশাল ভান্ড এখন বোলপুরের সোনাঝুরিপল্লি এলাকার বাসিন্দা। তিনিও টেক্সটাইলের উপরে বিভিন্ন কাজ বেশ কিছুদিন ধরে করে আসছেন। পড়ুয়াদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি লন্ডনের একটি বিখ্যাত পত্রিকার আমন্ত্রণ পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন অধ্যাপক বিশাল ভান্ড। সেখানে টেক্সটাইলের উপরে একমাস ধরে চলে কর্মশালা। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘লন্ডন টেক্সটাইল মান্থ’। সেখানে পাঁচ দিন ধরে ওই অধ্যাপক ভারতীয় পদ্ধতিতে কী ভাবে কাপড়ের উপরে প্রিন্ট করা হয় তার প্রশিক্ষণ দেন। রস্ট, ইকো ও ব্লক প্রিন্ট এই তিন পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে তাঁতে বোনা সুতি ও রেশমের কাপড়ের উপরে প্রিন্টিংয়ের প্রশিক্ষণ দেন ওই অধ্যাপক।পাশাপাশি তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার নতুন নতুন বেশ কিছু কাজও তুলে ধরেন।

    ওই কর্মশালায় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশে থেকে প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন ও তাঁরা প্রশিক্ষণও নেন। সেখানে বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতনের শিল্পকর্ম তুলে ধরতে পেরে আপ্লুত ওই অধ্যাপক। তাঁর কথায়, “রবীন্দ্রনাথ এই চিন্তাভাবনা অনেক আগেই করেছিলেন। আজকে বিদেশের সঙ্গে আমাদের আদান-প্রদান করা খুবই দরকার। কারণ আজ এই শিল্পকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।” বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, “খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)