খাস কলকাতায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। পার্ক স্ট্রিটের এক হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ। ঘটনাটি কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, এক বোর্ডার ঘরে ঢোকার পরই বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে।
এমনিতেই এক নজর দেখলে একেবারে পরিষ্কার পরিপাটি ঘর। বিছানা টানটান। আসবাবও ঠিকঠাক জায়গায়। কিন্তু ঘরে ভীষণ পচা গন্ধ। এই গন্ধেই হতচকিত হয়ে পড়েন ওই বোর্ডার। কিছুক্ষণ পরেই তিনি হোটেল কর্মীদের ডাকেন। হোটেল রুমের বক্স খাট খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে একটি দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি হোটেলের থার্ড ফ্লোরে ঘটেছে। রুম নম্বর ৩০২ থেকে ওই দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিকভাবে এটি খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ও সায়েন্টিফিক উইং।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন দিন আগে দুই ব্যক্তি ওই হোটেলে ওঠেন। যাঁর আধার কার্ড দেখিয়ে ঘর নেওয়া হয়, তিনি ইতিমধ্যেই হোটেল থেকে চেক আউট করেছেন। কিন্তু যে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তাঁর পরিচয় মিলছে না। তাঁর নামে দেওয়া আধার কার্ডটি ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে।
মৃত যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৬ বছর। পুলিশ ওই যুবকের সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার সকালে নরেন্দ্রপুরে আরেকটি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কোল্ড ড্রিঙ্কস কারখানার শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের পচাগলা দেহ। মৃতের নাম কবীর হোসেন মোল্লা (৩০)। তিনি ওই কারখানারই গাড়ির চালক ছিলেন।
পরিবারের দাবি, বুধবার কাজের জন্য বেরোনোর পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ ছিল কবীরের সঙ্গে। বারবার খোঁজ নেওয়া হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ বেরোতেই কর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।