মমতা ও শোভনের বৈঠকের পরের দিন শিক্ষা দপ্তরের চিঠি পেলেন বৈশাখী
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বছর পাঁচেক আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়া সহকারী অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি চিঠি পেয়েছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে। চিঠি পৌঁছানোর দিন ও চিঠিতে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে ফারাক জনসাধারণের মধ্যে জল্পনার জন্ম দিয়েছে। চিঠিতে লেখা ৮ অগস্ট ২০২৫, তবে বৈশাখী জানিয়েছেন, এটি তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছেছে ১৬ অক্টোবর, যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরের দিন।
বৈশাখী পূর্বে মধ্য কলকাতার মিল্লি আল আমিন কলেজে সহকারী অধ্যাপিকা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (ডিডিও) ছিলেন। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি প্রথমবার ইস্তফা দেন। নিয়ম অনুযায়ী সেটি পরিচালন সমিতির কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সেই সময় কলেজে অস্থায়ী পরিচালন সমিতি দায়িত্বে থাকায় তিনি সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাসচিবকে ইস্তফাপত্র পাঠান।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর তাঁকে রামমোহন রায় কলেজে বদলি করা হয়। তবে তিনি সেখানে যোগ দেননি এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে লিখে ফের ইস্তফা দেন। এই চিঠিতে ‘আইনি ত্রুটি’ সংক্রান্ত বিষয়ও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পরিবর্তনের পর, ২০২১ সালের মে মাসে ব্রাত্য বসু দায়িত্বে আসার সময়, উচ্চশিক্ষা দপ্তর নতুন করে চিঠি পাঠায়। এতে জানানো হয়েছে, বৈশাখীর চাকরির শেষ তারিখ ২০২০ সালের ডিসেম্বর নয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর বৈশাখী যে বেতন নিয়েছেন, তা প্রাপ্য নয়। পাশাপাশি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা ও ডিডিও হিসাবে নেওয়া তাঁর সব অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তও বৈধ ধরা হবে না। এক বছরের বেতন ফেরত দিতে হতে পারে এবং সেই সময়ে নেওয়া খরচও ‘অনধিকার হস্তক্ষেপ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে লিখে এই নির্দেশ সংশোধনের অনুরোধ করেছি। যদি তা না হয়, আমাকে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’