রেলপথে জুড়ছে ভারত-ভুটান, ৪ হাজার ৩৩ কোটি টাকা মঞ্জুর রেলওয়ে বোর্ডের
প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য: ভারত-ভুটান রেলপথে জুড়ছে। রেলপথ তৈরির জন্য ৪ হাজার ৩৩ কোটি টাকা মঞ্জুর ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের। উত্তরের ডুয়ার্স এবং অসমের কোকরাঝার দুই দিক থেকে ভারতের সঙ্গে ৮৯ কিলোমিটার রেলপথে যুক্ত হবে ভুটান। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীক্ষার কাজ শেষের পথে। দ্রুত রেললাইন পাতার কাজ শুরু হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দেবেন্দ্র সিং জানান, প্রকল্পের জন্য মোট ৪ হাজার ৩৩ কোটি টাকা আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের হাতে তুলে দিয়েছে রেল বোর্ড। সমীক্ষার কাজ শেষ হলেই রেললাইন পাতার কাজ শুরু হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের বানারহাট থেকে ট্রেন ছুটবে ভুটানের সামৎসে স্টেশনে। দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। অন্যদিকে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ট্রেন ছুটবে ভুটানের গেলেফু স্টেশনে। দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একদিকে ভারত ও ভুটানের মধ্যে যেমন বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। তেমনই অন্যদিকে শিলিগুড়ি করিডর অর্থাৎ চিকেনস নেকের নিরাপত্তা অনেকটাই মজবুত হবে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ভুটানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হিসেবে পরিচিত গ্যালিফুর সঙ্গে রেলপথে ভারত জুড়বে। এটা হলে দুই দেশের বাণিজ্যে জোয়ার আসবে। ইতিমধ্যে সামচেকে আন্তর্জাতিক মানের শিল্পশহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে ভুটান।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল যোগাযোগ চালু হয়। বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থা পর্যন্ত লাইন চালু হয়েছে। এটি বিজলপুরা পর্যন্ত প্রসারিত। জয়নগর-কুর্থা রুটে নেপালের দ্রুততম রেল পরিষেবা ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এবার ভুটান। অন্যদিকে সিকিম জুড়ছে রেলপথে। সেভক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০২৭ সালের মধ্যে ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু করবে বলে আশাবাদী রেলকর্তারা। প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই পাহাড়ি রেলপথে পাঁচটি স্টেশন থাকবে।