সুমন করাতি, হুগলি: গভীর রাতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ যুবক। প্রেমিকার বাবা-মা, ভাই শাবল দিয়ে মেরে চোখ নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ যুবকের পরিবারের। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক। ক্ষোভে প্রেমিকার বাবার দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রেমিকার অভিযুক্ত দাদাও জনতার রোষে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হুগলির শ্রীরামপুরের ঘটনা। ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। মোতায়েন রয়েছে র্যাফ।
‘আক্রান্ত’ যুবকের নাম বৈদ্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ২৫ বছর। তিনি প্রভাসনগর চাকলাপাড়ায় এলাকার বাসিন্দা। বৈদ্যরাজের সঙ্গে ঘোড়ামারা মল্লিপাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। আগামী ৪ ডিসেম্বর বিয়ে দিন ঠিক হয়েছে। যুবকের পরিবার জানিয়েছে, গত পরশু বুধবার গভীর রাতে তরুণীর ডাকে তাঁর বাড়িতে যান যুবক। তা বুঝতে পেরে যান তরুণীর পরিবার।
ঘরে যুবক ও তরুণীকে একসঙ্গে দেখে প্রেমিকার বাবা-দাদা ও মা মিলে বৈদ্যরাজকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। শাবলের আঘাতে যুবকের চোখে গুরতর আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ। বর্তমান যা অবস্থা তাতে যুবকের চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
যুবকের আত্মীয় এক ভাই জানিয়েছে, “রাতে দাদার ফোন পেয়ে ওকে আনতে যাই। দেখি দাদা রাস্তায় চোখে রুমাল ধরে বসে আছে। পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ওই মেয়েটির দাদা, বাবা। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।” যুবকের দিদি বলেন, “তরুণীর সঙ্গে ভাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয় অন্য জায়গায়। তা জানতে পেরে ভাই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু মেয়েটি বলতে থাকে ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। বারবার ফোন করে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলত। ভাই গেলে ওকে বেধড়ক মারধর করেছে মেয়েটির বাবা-মা-দাদা। শাবল দিয়ে মাথা, চোখে, মুখে আঘাত করেছে। আমরা শাস্তি চাই।” যুবকের বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলের যে ক্ষতি হল তার কী হবে।মেয়েটির শাস্তি চাই।”
এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা তরুণীর দাদাকে পাকড়াও করে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শ্রীরামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ তরুণীর দাদাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। বৈদ্যরাজকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।