• হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে ভারতে ফেরাতে ‘নিশ্চুপ’ কেন্দ্র, তোপ তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার। এখনও বাংলাদেশ থেকে মাতৃভূমিতে ফেরত আসেননি সোনালি খাতুন-সহ ৬জন। বাংলাদেশ থেকে তাঁদেরকে ফেরাতে কোন উদ্যোগও নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার, অভিযোগ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল হোসেনের। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার পর ৪ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র নিশ্চুপ। কেন্দ্রের ভূমিকার নিন্দা করেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও।

    ভারতের বাসিন্দা হয়েও পরবাসী সোনালি খাতুনরা। কেন্দ্রীয় সরকার সোনালিদের ‘পুশব্যাক’ করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই আসরে নামে তৃণমূল। আইনি লড়াইয়ে স্বীকৃতিও মেলে। কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, সোনালিরা ভারতীয়। নাগরিকত্বের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের ৬ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরত আনতে হবে। শুক্রবার আদালতের বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আজও সোনালিরা বাংলাদেশ হাই কমিশনের দিকে তাকিয়ে। বারবার ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সামিরুল।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি সোনালিদের দেশে ফেরাতে সব রকমের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন। সামিরুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তিনি জানান, প্রথমে বাংলা-বিরোধী জমিদাররা বাংলার মানুষদের বাংলাদেশি বলে অপমান করেছিল, আর পরে তারা অন্তঃসত্ত্বা সোনালি-সহ ৬ জন বাংলাদেশে নির্বাসিত। এখন সেই বাংলা বিরোধীরা আদালতের নির্দেশ মানতেও অস্বীকার করছে। যাতে সোনালি খাতুন ও অন্যদের ভারতে ফিরিয়ে না আনা যায়। পালটা অবশ্য বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)