তার তীব্র মাথাব্যথা করছে বলে স্কুলে জানিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছেলেটি। স্কুলের কর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক জানান সে ‘ব্রেন ডেড’। তেলঙ্গনার হানামকোন্ডায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রের।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর), নঈম নগরের তেজস্বী উচ্চ বিদ্যালয়ে। মৃত ছাত্রটির নাম সরজিত প্রেম। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুল চলাকালীন সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। স্কুলের কর্মীরা তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু বাঁচাতে পারেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিয়ো ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় স্কুলের কর্মীদের গাড়িতে করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
সরজিতের এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। তার উপরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তার বাবা-মাকে কিছুই জানাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতেই পরিবারের সন্দেহ, স্কুলে কেউ সরজিৎকে আঘাত করেছিল। না হলে আচমকা তার মস্তিষ্কের এত বড় ক্ষতি হলো কী করে?
বৃহস্পতিবার সরজিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে তেজস্বী উচ্চ বিদ্যালয় ঘেরাও করে তার আত্মীয়স্বজন, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানান তাঁরা। অবহেলার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়।
এর মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। উত্তেজনা তাতে আরও বাড়ে। উত্তেজিত জনতা স্কুল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া শুরু করে।
ACP নরসিংহ রাওয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঠিক কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনও গাফিলতি বা অবহেলা ছিল কি না, তা নির্ধারণের জন্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সরজিতের পরিবারের দাবি, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর একই স্কুলে জয়ন্তবর্ধন নামে আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। সরজিতের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তাঁরা।