• উলুবেড়িয়ার ঘটনায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ
    এই সময় | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকে নিগ্রহের ঘটনায় উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে এ বার শ্লীলতাহানির ধারাও যোগ করল পুলিশ। শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হয়। উপস্থিত ছিলেন নিগৃহীতা চিকিসিৎকও। ধৃতদের এ দিন তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    পুলিশ সূত্রে খবর, নিগৃহীতা মহিলা চিকিৎসকের গোপন জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই ধৃতদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ধারা যোগ করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নিগৃহীতা চিকিৎসকের আইনজীবী সুদীপ ঘোষ। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা।

    সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক অমৃতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছি আমরা। হাসপাতালের সর্বত্র সিসিটিভি লাগাতেই হবে। অভিযুক্তরা যাতে জামিন না পান, নিশ্চিত করতে হবে তাও।’ নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কালীপুজোর সন্ধ্যায় এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া ট্র্যাফিক পুলিশের হোমগার্ড শেখ বাবুলাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রায় ১০-১২ জন। ওই সময়ে প্রসূতি বিভাগে কর্মরত ছিলেন নিগৃহীতা মহিলা চিকিৎসক। তিনি রোগীকে পরীক্ষা করে রেস্টরুমে গিয়ে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে দলবল নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হন বাবুলাল।

    কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মহিলা চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। ওয়ার্ডের নার্স এবং আয়ারা মারমুখী জনতার হাত থেকে তাঁকে কোনও রকমে উদ্ধার করেন। রাতেই রোগীর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা চিকিৎসক। ঘটনার তদন্তে নেমে শেখ বাবুলাল-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)