• নীতীশই কি এনডিএ’র মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী? মুখে কুলুপ প্রধানমন্ত্রী মোদির
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মঞ্চে বসে নীতীশ কুমার সহ এনডিএ শরিক দলগুলির নেতৃত্ব। সঞ্চালক শুরুতেই ডাকলেন লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান চিরাগ পাসোয়ানকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃশ্যতই বিরক্ত। তিনি হাত তুলে ইশারা করলেন পাশে বসা নীতীশের দিকে। অর্থাৎ প্রথমে ভাষণ দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তা বেশ উপভোগ করলেন নীতীশ। ভাষণও দিলেন। এরপর সর্বশেষ বক্তা হিসেবে ৪৪ মিনিট বক্তৃতা দিলেন মোদি। তাঁর আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ এবার বিহারের ভোটে লড়াই করছে এবং বিপুলভাবে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। আবার সরকার গড়বে এনডিএ। বিহারের স্বপ্ন পূরণ হবে। শুনে রাখুন, এটা মোদির গ্যারান্টি। কিন্তু ভোটের পরও কি নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী হবেন? ভোটমুখী বিহারে এই আগ্রহী প্রশ্নের উত্তর কিন্তু শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী দিলেন না।  বৃহস্পতিবার বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে যে প্রশ্ন তুলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করা হয়েছে যে, নীতীশকে সরিয়ে দেওয়া হবে, সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। 

    শুক্রবার আরজেডি মুখপাত্র এমপি মনোজ কুমার ঝা বলেছেন, নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ লড়াই করবে একথা তো অমিত শাহ বলেছেন। মোদিজি নতুন কিছু বলেননি। মূল প্রশ্ন হল, তাদের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? বিহার তা জানতে চায়। সেই উত্তর কিন্তু পাওয়া গেল না। 

    বিহারের সমস্তিপুর থেকে এদিন মোদি তাঁর বিহারে ভোটের প্রচার শুরু করলেন। প্রথমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরের জন্মভিটেয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।  তারপর সমস্তিপুরের জনসভায় ভাষণ। বিহারে তাঁর এই প্রথম দিনের সভা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মুখে নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ জোট লড়ছে বলা হলেও আদতে পুরোটাই ‘মোদি শো’ করতে চাইছে বিজেপি। তিনি এবং কেন্দ্রীয় সরকারই যে বিহারের বিগত পাঁচ বছরের উন্নতির কারণ, তা এদিন বারংবার ঘুরে ফিরে এসেছে মোদির ভাষণে। তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিস্তারিত খতিয়ান দিয়েছেন এবং কেন্দ্র থেকে বিহার কত 

    টাকা পেয়েছে সেটাও জানিয়েছেন। ইউপিএ আমলে যে টাকা বিহার পেয়েছে, বিজেপি সরকার তার তিনগুণ অর্থ প্রদান করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একাধিকবার বিহারের উন্নতির প্রশ্নে এবং ভবিষ্যৎ বিহার নির্মাণের দায়িত্ব যে তাঁর, একথা মোদি দফায় দফায় উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এই সবই হল মোদির গ্যারান্টি। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল আরজেডি ও কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোরের নতুন দলকে নিয়ে ভোটের বিহারে প্রচুর চর্চা চলছে। প্রশান্তও সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছেন বিজেপিকে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি মোদি। নীরব ছিলেন এনডিএ-র অন্যান্য নেতারাও। বিহারে বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণের প্রেক্ষিতে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)