সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরে লাগাতার চুরির পিছনে বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। শহরের একটি মন্দির থেকে দানবাক্স চুরির ঘটনায় বিহারের কিষানগঞ্জের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমনটাই দাবি করেছেন। বিহার সীমানা লাগোয়া এই শহরে চুরি রুখতে এলাকা ভাগ করে ৫ জন পুলিশ আধিকারিককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে চুরির ঘটনা কমবে বলে দাবি করেছেন পুলিশকর্তারা। কয়েকমাসে ইসলামপুরে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি, দোকান, মন্দিরে চুরি হচ্ছে। পরপর চুরির ঘটনায় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
গত ৪ অক্টবর দুর্গানগরের স্বর্ণ কারিগর অপূর্ব সিদ্ধার বাড়িতেও চুরি হয়। আলমারি ভেঙে সোনাদানা চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ৭ অক্টোবর রাতে ইসলামপুর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের ক্ষুদিরামপল্লির জয়দেব নন্দীর বাড়ির কালীমন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের দুটি তালা ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকার দেবীর অলংকার চুরি করে চম্পট দেয়। কলেজমোড় সংলগ্ন নতুন পাড়া ও খ্রিষ্টানপাড়াতেও একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। কলেজমোড় এলাকায় দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। তবে এবার পুলিশ এক চোরকে ধরেছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেণ্ডুপ শেরপা এদিন বলেন, সর্বমঙ্গলা কালীমন্দিরের দানবাক্স চুরির ঘটনায় পুলিশ হাতেনাতে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত সোমেন সাহা বিহারের কিষানগঞ্জের বাসিন্দা। কাউন্সিলার গুরুদাস সাহার বাড়ির মন্দিরে চুরির ঘটনাতেও ধৃতের যোগ আছে বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সংযোজন, কিষানগঞ্জ থেকে দুষ্কৃতীরা এখানে আসছে। একটি গ্যাং শহরে চুরি করছে। তাদের একজনকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চলছে। এদিকে, চুরি রুখতে শহরে পুলিশের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পেট্রলিংয়ের জন্য আরও একটি বাইক ও একটি গাড়ি নামানো হচ্ছে। ১৭ টি ওয়ার্ডকে একাধিক সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। পুলিশের পাঁচ দক্ষ অফিসারকে বিভিন্ন সেক্টরে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।