• শিলিগুড়ি: পানীয় জলের সংযোগ না পাওয়া আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দিচ্ছে পুরসভা
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: জলের সংযোগ অমিল। তাই বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগের জন্য আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দিচ্ছে শিলিগুড়ি পুরসভা। ইতিমধ্যে তারা বেশ কয়েকজনকে টাকা ফেরত দিয়েছে বলে খবর। তবে মেগা জলপ্রকল্প চালু হওয়ার পর এই সমস্যা লাঘব হবে বলেই পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। এজন্য তারা সংশ্লিষ্ট জল প্রকল্পের কাজে জোর দিয়েছে। 

    দীর্ঘদিন আগে আবেদন করেও বাড়িতে মেলেনি পানীয় জলের সংযোগ। কয়েক দিন আগে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করেন এক নাগরিক। মেয়র গৌতম দেব আধিকারিকদের সেই নাগরিকের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এমন আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেন। 

    পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে পানীয় জলের সংযোগের ফি ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু। এখন পর্যন্ত ৯০-১০০ জন আবেদনকারীর বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলি অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। ওই এলাকাগুলির কিছু অংশে পাইপ পাতা সম্ভব হয়নি। কিছু এলাকায় লাইন থাকলেও জল পৌঁছচ্ছে না। 

    পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, বর্তমানে বাড়ি, আবাসন তৈরির প্ল্যান পাশের সময় জলের সংযোগের জন্য আবেদন করেন বাসিন্দারা। বাড়ি তৈরির পরও সংযোগ পাননি কেউ কেউ। কারণ বাড়িটি উঁচু এলাকায়। ওসব আবেদনকারীকে তখন টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এমন কয়েকজনকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এটাই নিয়মের মধ্যে রয়েছে। 

    শহরে নলবাহিত পনীয় জলের সংকট বহুদিনের। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে দৈনিক চাহিদা প্রায় ১০০০ লক্ষ লিটার। সেখানে ফুলবাড়ির ট্রিটমেন্ট প্লান্টে দৈনিক জল উৎপাদনের পরিমাণ ৫২০ লক্ষ লিটার। এই সমস্যা মেটাতেই মেগা জলপ্রকল্পের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। মেয়র পারিষদ বলেন, মেগা জলপ্রকল্প দু’টি ভাগে হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ইনটেক ওয়েল, পাম্প হাউস, গজলডোবা থেকে অপরিস্রুত জল ফুলবাড়ির প্লান্টে পাঠানোর লাইন পাতার কাজ চলছে। এই পর্যায়ের অধিকাংশ কাজ প্রায় শেষ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন প্লান্ট, শহরে জল সরবরাহের পাইপ বসানো, রিজার্ভার তৈরি প্রভৃতি হবে। এই কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্প শেষ হলে শহরে জলের সংকট থাকবে না। যেসব বাড়িতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে জলের লাইন দেওয়া হবে। এজন্য নাগরিকদের আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন যেসব এলাকায় জল যাচ্ছে না, সেসব এলাকায় পাঠানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক। কাজেই, পুরসভা হাত গুটিয়ে বসে নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)