• কালীপুজো শেষে স্বাভাবিক ছন্দে বারাসত ও মধ্যমগ্রাম, তিন রাতে আটক ৩০০
    বর্তমান | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসত ও মধ্যমগ্রামে কালীপুজো শেষে শহর ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। পুজোর সময় কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা সামলেছে পুলিশ। এটাই এখন মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। উৎসব মরশুমে প্রায় ৩০০টি মামলা হয়েছে বারাসত পুলিশ জেলায়।

    কালীপুজো ঘিরে দুই শহরেই হয়েছিল চোখ ধাঁধানো থিম। ছিল রকমারি আলোকসজ্জা। পাশাপাশি ছিল হেভিওয়েটদের আনাগোনা। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে পুলিশ বন্দোবস্ত নেওয়া শুরু করেছিল এক সপ্তাহ আগে। বড় প্যান্ডেলগুলিতে ছিল নজরদারি ক্যামেরা। ব্যবহার হয়েছে ড্রোন। ছিল স্পেশাল মোবাইল টিম। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা মাঠে নেমেছিলেন। চারচাকায় এবং বাইকে শহরের অলিগলি ও প্যান্ডেলে ঘুরেছেন তাঁরা। সকাল পর্যন্ত চলেছে টহলদারি। বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তিনশোরও বেশি মানুষ আটক হয়েছেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর আগেভাগে মানুষের কথা ভেবে একাধিক বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছিল। পুজোর নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১৬ ডিএসপি, ৩৮ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক সহ প্রায় ২৬০০ কর্মী। তাছাড়া ছিল এনসিসি, সিভিক ভলান্টিয়ার। তারা নিখোঁজ শিশু খোঁজার দায়িত্ব পালন করেছে। প্রবীণদের রাস্তা পেরতে সাহায্য করেছেন। পুলিশের ভূমিকার তারিফ করেছেন দর্শনার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায়া কেউ লিখছেন, ভোর তিনটেয় এসপি বা অ্যাডিশনাল এসপি বা এসডিপিওকে প্যান্ডেলে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এমনটা সত্যিই বিরল।

     কেউ আবার ফেসবুক লিখেছেন, এবার পুজোতে পুলিশের ভূমিকা অনবদ্য। যেখানেই গিয়েছি সাহায্য পেয়েছি। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, নিয়মানুযায়ী আমাদের ডিউটি ছিল ভোর চারটে পর্যন্ত। কিন্তু থাকতে হয়েছে ভোর ছ’টা পর্যন্ত। মানুষ বা পুজো কমিটি পুলিশের প্রতি আস্থা রাখছে সেটাই বড় পুরস্কার। অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের পুজো প্যান্ডেলের আলো খোলা শুরু হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)