• কালীপুজোয় বিশৃঙ্খলা সামলাতে ‘দাবাং’ বারাসত পুলিশ! গ্রেপ্তার দু’শোরও বেশি
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত বারাসত এবং মধ্যমগ্রামে মোটের উপর নির্বিঘ্নে কেটেছে আলোর উৎসব। তবে পুজোর কয়েকদিন অশান্তি এড়াতে রীতিমতো ‘দাবাং’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পুলিশকে। বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা রুখতে অভিযোগের ভিত্তিত দুশো জনেরও বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবই অবশ্য প্রতিরোধ মূলক গ্রেপ্তার বা প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট। পরবর্তীতে আদালতে পেশ করে ধৃতদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যাটা ২৩০। আর পুলিশের এই ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে নানা মহলে।

    গত ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কালীপুজো কমিটিগুলিকে উৎসবের অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। বারাসত এবং মধ্যমগ্রামে কালীপুজোর খ্যাতি রয়েছে বরাবর। লাগোয়া দুই শহরে বহু বিগ বাজেটের পুজো হয়েছে এবছরও। রকমারি থিম, চোখধাঁধানো আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছিল দুই শহর। তবে এবছর মধ্যমগ্রামের তুলনায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতির নিরিখে কয়েকগুণ এগিয়ে ছিল জেলা সদর বারাসত। ২০ অক্টোবর থেকে পুজোর অনুমতি থাকলেও তার দু’দিন আগে থেকেই দুই শহরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন দর্শনার্থীরা। লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় সামাল দিতে জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক-সহ অলিগলির রাস্তাতেও পুলিশ ব্যারিকেড করেছিল। এই নিয়ে একাংশের ক্ষোভ থাকলেও কালীপুজোর দিনগুলিতে বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

    প্রায় প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ? বারাসত, মধ্যমগ্রামে কড়া টহল দিয়েছেন বারাসত পুলিশ জেলার কর্তারা। নজরদারিতে ছিলেন তিনজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১৬ জন ডিএসপি, ৩৮ জন ইন্সপেক্টর-সহ সবমিলিয়ে ২৬০০ জন পুলিশকর্মী। তাছাড়া ছিল এনসিসি, সিভিক ভলান্টিয়ারও। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিশুকে যেমন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, তেমনই প্রবীণ মানুষদের নিরাপদে প্রতিমা দর্শনেও সাহায্য করেছে। আবার মদ্যপদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন পুলিশকর্তারা। তেমনই কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখলেই কড়া হাতে দমন করে অভিযুক্তদের আটক করেছে। এভাবেই আলোর উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নানা ভূমিকায় দেখা গেল আইনরক্ষকদের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)