• মহারাষ্ট্রে পুলিশের লাগাতার ‘ধর্ষণে আত্মঘাতী’ চিকিৎসকের ‘সুইসাইড নোটে’ সাংসদের নাম!
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণ করেছেন পুলিশ আধিকারিক! তার জেরে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতেই সুইসাইড নোট লেখেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে চার পাতার একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন ওই তরুণী। সেই ‘সুইসাইড নোটে’ এক সাংসদের নাম রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, পুলিশ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের জন্য জাল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে চাপ দেয় তাঁকে। মৃত চিকিৎসকের দাবি, তিনি সেই কাজ করতে অস্বীকার করায় তাঁকে হয়রানি করা হয়। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, পুলিশ কর্তাদের পাশাপাশি একজন সাংসদও তাঁকে এই কাজে চাপ দিয়েছেন। ওই সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারিরাও এই ঘটনায় যুক্ত বলে দাবি করেছেন মৃত তরুণী।

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তরুণী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, বহু অভিযুক্তকেই হাসপাতালে না এনে, তাঁদের নামে ভুয়ো মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করা হতো তাঁকে। ওই তরুণী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট একটি ঘটনায় এক সাংসদের দুই সহকারি হাসপাতালে এসে তাঁকে বাধ্য করেন ওই নেতার সঙ্গে কথা বলতে। সেখানেই সাংসদ তাঁকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি।

    বৃহস্পতিবার রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। মহারাষ্ট্রের ফল্টন উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের বাঁ হাতে লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনে। আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন তিনি। পাঁচ মাস ধরে আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে তিনি নির্যাতন করেছেন।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই জানা যায়, স্থানীয় ডিএসপির কাছে ফল্টনের তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। প্রবল মানসিক চাপ দিয়েছেন বাদনে-সহ তিনজন পুলিশ আধিকারিক, এই মর্মে চিঠি লেখেন চিকিৎসক। সেই চিঠি দেওয়ার মাত্র মাসচারেকের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক।
  • Link to this news (প্রতিদিন)