রোজ় ভ্যালি অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য গঠিত ‘অ্যাসেট ডিসপোজ়াল কমিটি’ (এডিসি)-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিটে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না সেবি-র কোনও অফিসার। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এ কথা জানান সেবি-র আইনজীবী। তবে তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, অডিট সংক্রান্ত বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সেবি। এই বক্তব্য শোনার পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী শুনানির দিন এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাবে কেন্দ্র এবং প্রয়োজনে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কোনও কর্তাকে ফরেন্সিক অডিটের নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে আদালত।
এ দিন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রোজ় ভ্যালির যে দশটি সম্পত্তি সেবি নিলামে বিক্রি করেছিল তার রিপোর্ট জমা দেন ওই সংস্থার আইনজীবী। তিনি জানান, নিলামে ওঠা ৩০টি সম্পত্তির মধ্যে ১০টি সম্পত্তি প্রায় ৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যদিও রোজ ভ্যালির আইনজীবীর অভিযোগ, বিক্রি হওয়া সম্পত্তিগুলি ন্যূনতম নির্ধারিত মূল্যের থেকে কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন সম্পত্তিগুলির ন্যূনতম নির্ধারিত মূল্য সংক্রান্ত তথ্য দেবে অর্থলগ্নি সংস্থা।
কোর্টের নির্দেশ, আমানতকারী মোট কত রয়েছেন ও কত জনকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে সেই তথ্য পেশ করতে হবে। এডিসি-র কমিটির কাছে থাকা সার্ভার থেকে এই তথ্য জোগাড়ে সাহায্য করবে রোজ় ভ্যালি। বেঞ্চের মতে, “আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়াই কোর্টের মূল উদ্দেশ্য। এডিসি পরিচালনার জন্য আমানতকারীদের টাকা খরচ করা হলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন।”