মৃত্যুর আগে হাতের তালুতে পুলিশের এসআই এবং বাড়ি মালিকের ছেলের নাম উল্লেখ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক। তাঁদের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী পলাতক হলেও গ্রেপ্তার হলেন বাড়ি মালিকের ছেলে। শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম প্রশান্ত বঙ্কর। দ্বিতীয় অভিযুক্ত পুলিশ সাসপেন্ড হওয়া সাব-ইনস্পেক্টর গোপাল বাদানে এখনও পলাতক। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ফলটনের একটি হোটেলে। তাঁর বাঁ হাতের তালুতে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, পুলিশের এসআই তাঁকে চার বার ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়াও নিজের বাড়িওয়ালার ছেলে তথা ধৃত প্রশান্ত তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। এই ঘটনার পর থেকে দু’জনেই পলাতক ছিলেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনায় ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল পুলিশের উপরে।
পুলিশ জানাচ্ছে, অন্য অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল সরগরম। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যদিও বিরোধীরা মহারাষ্ট্রের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, একজন সরকারি চিকিৎসক এখানে সুরক্ষিত নন। এর থেকেই পরিস্থিতির আঁচ পাওয়া যায়।